ভারত: ১৭৬/৩ (রোহিত-৮৯, রায়না-৪৭)
বাংলাদেশ: ১৫৯/৬ (মুশফিরুক-৭২*)
১৭ রানে জয়ী ভারত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করে ফেলেছিল টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু তিন দলের মধ্যে শীর্ষে থেকেই ফাইনালে পৌঁছনো ছিল লক্ষ্য। সে লক্ষ্যও পূরণ হল হেসে খেলেই। তবে আইসিসি টি-টোয়েন্টি ব়্যাঙ্কিংয়ে বাকি দুই দলের চেয়ে এগিয়ে থাকা ভারতের চিন্তা ছিল অধিনায়ক রোহিত শর্মার ফর্ম নিয়ে। দল জিতলেও কোনওবারই কথা বলেনি রোহিতের ব্যাট। প্রথম তিনটি ম্যাচেই ব্যর্থ নেতার ব্যাট। কখনও দলকে জিতিয়েছেন শিখর ধাওয়ান তো কখনও শার্দুল ঠাকুরের পেস ঝড়ে উড়ে গিয়েছে বিপক্ষ। অবশেষে সেই দুশ্চিতার কালো মেঘও সরে গেল। দুর্দান্ত ইনিংস খেলে স্বমহিমায় ধরা দিলেন রোহিত।
Match 5. It’s all over! India won by 17 runs https://t.co/MHTs53mV41 #BanvInd
— BCCI (@BCCI) March 14, 2018
চলতি টুর্নামেন্ট ব্যাটিংয়ের চেয়ে বেশি প্রশংসা কুড়িয়েছে ভারতীয় বোলিং বিভাগ। ভুবনেশ্বর কুমার, রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে নিজেদের বারবার প্রমাণ করে চলেছেন বিজয় শংকর, জয়দেব উনাদকাট, শার্দুল ঠাকুররা। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে পেস আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করেছিলেন শার্দুল। আর এদিন বাংলাদেশি বাঘদের বধ করলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। তাঁর স্পিন বুঝে ওঠার আগেই প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরলেন লিটন দাস, সৌম্য সরকাররা। একাই তিনটে উইকেট ঝুলিতে ভরে ভারতের জয়কে অনেকটাই সহজ করে দিয়েছিলেন ১৮ বছরের তরুণ অফ-স্পিনার। তবে বাংলাদেশের হয়ে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। গত ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয়ের পর যাঁর নাগিন ডান্সের ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। এদিন অপরাজিত ৭২ রানের গোছানো ইনিংস খেলেও অবশ্য দলকে জেতাতে পারলেন না। ফাইনালে পৌঁছতে হলে পরের ম্যাচে ফের বড় ব্যবধানে হারাতেই হবে ঘরের দলকে। নাহলে খালি হাতেই দেশে ফিরতে হবে।
বাংলাদেশের কাছে যখন ফাইনালের রাস্তা আরও কঠিন হয়ে গেল, তখন শীর্ষে থেকেই প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে চলে গেল বিরাটহীন টিম ইন্ডিয়া। আর ফাইনালের আগে বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিং বিভাগেও সাফল্য বেশ স্বস্তি দিচ্ছে রবি শাস্ত্রীকে। পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়ে ৬১ বলে ৮৯ রানের মারকাটারি ইনিংস খেললেন রোহিত। ট্রফি জয়ের আগে তাঁর ফর্মে ফেরাটা যেমন দলের জন্য প্রয়োজন ছিল, তেমনই জরুরি ছিল তাঁর নিজের জন্য। এরপর নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করবে ভারতীয় শিবির। এদিকে অল্পের জন্য হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেন সুরেশ রায়না। তবে ফাইনালে প্রতিপক্ষ যেই হোক, দল যাতে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের শিকার না হয়, তা খেয়াল রাখার দায়িত্ব এবার রোহিতেরই। গত বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের স্মৃতি ফিরুক, এমনটা চায় না কোনও ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.