ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১১ সালে দেশবাসীকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত উপহার দিয়েছিল এই স্টেডিয়াম। যা নিয়ে গর্বের সীমা নেই ক্রিকেটপ্রেমীদের। তেরঙ্গা হাতে বিরাট কোহলি, যুবরাজ সিংদের কাঁধে করে ঘুরেছিলেন শচীন তেণ্ডুলকর। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ হাতে তুলেছিলেন ক্যাপ্টেন কুল মহেন্দ্র সিং ধোনি। করোনার আবহে সেই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই ভোল বদলাতে চলেছে। কারণ এটিই এবার পরিণত হতে পারে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। যা মেনে নিতে পারছেন না মুম্বইবাসী।
দিন দুয়েক আগেই বৃহন্মমুম্বই পুরনিগম বা BMC মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার কাছে ওয়াংখেড়েকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বদলে ফেলার অনুরোধ জানায়। করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা বা বাইরে থেকে ফেরা মানুষগুলিকে রাখতে বিভিন্ন বিল্ডিং, অফিস ইত্যাদিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিণত করা হয়েছে। অনেক বেসরকারি সংস্থাও এ কাজে এগিয়ে এসেছে। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও অনেক আগেই রাজ্য সরকারকে ইডেন গার্ডেন্সকে ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এমনকী ওরলির এনএসসিআই ইন্ডোর স্টেডিয়ামও ইতিমধ্যেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু বিএমসির প্রস্তাব ভালভাবে নিচ্ছেন না স্থানীয়রা। দক্ষিণ মুম্বইয়ের বাসিন্দারা চান না ওয়াংখেড়েতে সাধারণ মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা হোক। তবে শুধুই সাধারণরা নন, প্রতিবাদে শামিল বিজেপি নেতাও।
বিজেপি নেতা রাজ পুরোহিত প্রতিবাদ জানিয়ে ইতিমধ্যে চিঠিও পাঠিয়েছেন। তারপরই সুর আরও চড়ান স্থানীয়রা। আইনজীবী সুজয় কাঁটাওয়ালা বলেন, “পুরো জায়গাটাই খোলা। তাই চিকিৎসার জন্য হয়তো আদর্শ নয়।”
উল্লেখ্য, এর আগে শিব সেনা নেতা সঞ্জয় রাউত জানিয়েছিলেন, কোভিড মোকাবিলায় সবাইকে একজোট হয়ে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, প্রয়োজনে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামও ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু তাঁর দলের আরেক নেতা আদিত্য ঠাকরেই এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, বৃষ্টিতে মাঠ ভিজে যাবে। কাদা হবে। তাই ওয়াংখেড়েকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানানোর মানে হয় না। অর্থাৎ ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম ভোল বদলাবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.