সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডার্বি মানেই দুই দলের আঁকচা-আঁকচি। ইলিশ-চিংড়ির চিরকালীন লড়াই। এই মহারণে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় গোটা কলকাতা। একদল চিৎকার করে লাল-হলুদ পতাকা গায়ে জড়িয়ে, আর অন্য দল মোহনবাগানের জয়ের জন্য জান-প্রাণ লড়িয়ে দেয়। মাঠের বাইরের মতো মাঠেও ৯০ মিনিটে দুই দলের লড়াই চলে সমান তালে। তবে খেলার বাইরে বন্ধুত্ব থাকে অটুট। ডুরান্ড কাপের ফাইনালেও দেখা গেল সেই ছবি।
রবিবারের ডার্বি মোহনবাগানের (Mohun Bagan) কাছে ছিল হারানো সম্মান ফিরে পাওয়ার। কারণ এই টুর্নামেন্টেই ইস্টবেঙ্গলের কাছে পরাস্ত হয়েছিল তারা। আর লাল-হলুদ এই বড় ম্যাচ জিতে ট্রফি ঘরে তুলতে মরিয়া ছিল। যদিও পেত্রাতোসের একমাত্র গোলে শেষ হাসি হাসে মোহনবাগানই। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও স্বপ্নভঙ্গ হয় ইস্টবেঙ্গলের। তবে মাঠে যতই ‘তু তু ম্যায় ম্য়ায়’ হোক না কেন, এক ফুটবলারকে প্রতিপক্ষের তারকা যত বিশ্রীই ট্যাকেল করুন না কেন, খেলার শেষে সমস্ত রাগ ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায়। ফুটবলের আপন দেশে কোনও দ্বেষের ঠাঁই নেই। তাই তো ডুরান্ড (Durand Cup 2023) জয়ের পর সেলিব্রেশনে মাতলেও প্রতিপক্ষকে অসম্মান করলেন না সবুজ-মেরুন তারকারা।
ফাইনালে হারের পর হতাশ হয়ে মাঠেই বসে পড়েন ক্লেটন, নন্দকুমাররা। হাজার চেষ্টা করেও সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে না পারার যন্ত্রণা তাঁদের চোখেমুখে। ঠিক সেই সময়ই নিজেদের সেলিব্রেশন থামিয়ে তাঁদের দিকে এগিয়ে যান ফেরান্দোর ছেলেরা। লাল-হলুদ ফুটবলারদের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন। যেন বলতে চান, “খেলায় তো হার-জিৎ থাকবেই বন্ধু। আবার নতুন উদ্যমে শুরু করতে হবে।” তাই মাঠে কোনও এক দল হেরে গেলেও এভাবেই জিতে যায় স্পোর্টসম্যান স্পিরিট।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই মুহূর্তের ভিডিও। যা দেখে ফুটবলপ্রেমীরা বলছেন, মাঠের শত্রুতার বাইরের এই বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.