সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড (India vs New Zealand) ম্যাচের পরেই বরখাস্ত করা হল লখনউয়ের পিচ কিউরেটরকে। দুই ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ১৯৯ রান তুলতে হিমসিম খেয়ে যান দুই দলের ব্যাটাররা। ম্যাচ জিতেও পিচ নিয়ে তুমুল অভিযোগ জানান ভারত অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া (Hardik Pandya)। তারপরেই সরিয়ে দেওয়া হয় কিউরেটর সুরেন্দর কুমারকে। আসন্ন আইপিএলের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। গোয়ালিয়রের মাঠের দায়িত্বে থাকা সঞ্জীব আগরওয়ালকে একানা স্টেডিয়ামের কিউরেটর হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে।
রবিবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সেভাবে খেলতে পারেননি দুই দলের ব্যাটাররা। ম্যাচ শেষ হতেই পিচ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন হার্দিক। সাফ জানিয়ে দেন, “এইরকম পিচে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা যায় না। কঠিন পিচে (Lucknow Pitch) খেলতে আমার অসুবিধা নেই। কিন্তু যে ধরনের পিচে সকলে খেলতে অভ্যস্ত, কিউরেটরদের উচিত সেরকম পিচ তৈরি করা।” ভারতীয় বোলিং কোচ পরস মামব্রেও একই অভিযোগ তোলেন।
শুধু ভারতীয় দলের সদস্য নয়, মুখ খোলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরও। আইপিএলে লখনউ সুপারজায়ান্টস দলের ঘরের মাঠ এই একানা স্টেডিয়াম। সেই দলের মেন্টর গম্ভীর বলেন, “এই উইকেট অত্যন্ত নিম্নমানের। এইরকম পিচে কেউই খেলতে চাইবে না।” জানা গিয়েছে, একাধিক মহল থেকে সমালোচনার পরেই কিউরেটরকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গেই বরখাস্ত করা হয় সুরেন্দর কুমারকে। আপাতত মাঠের দায়িত্ব সামলাবেন সঞ্জীব আগরওয়াল।
কেন লখনউয়ের পিচের এহেন দশা? সরাসরি এই প্রশ্নের উত্তর না পেলেও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ম্যাচের জন্য কালো মাটি দিয়ে দু’টি পিচ তৈরি করেছিলেন সুরেন্দর। কিন্তু রাঁচির মাঠে প্রথম ম্যাচ হারের পরে উইকেট নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা দেওয়া হয় ভারতীয় দলের তরফে। একেবারে শেষ মুহূর্তে লাল মাটির পিচ দাবি করেন হার্দিকরা। অল্প সময়ের মধ্যে এই নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে চেষ্টা করেন সুরেন্দর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উলটো ফল হয়, পিচের গতি একেবারে কমে যায়। ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়ে দুই দলই। শাস্তির কোপ পড়ল কিউরেটরের উপর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.