সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচ শেষের পর প্রায় ৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। তারপরও রিঙ্কুর ইনিংসের হ্যাংওভার কাটাতে পারছেন না ক্রিকেটপ্রেমীরা। এখনও চোখের সামনে ভাসছে চাপের মুহূর্তে তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। যশ দয়ালের ওভারে শেষ পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়ে নজির গড়েছিলেন রিঙ্কু (Rinku Singh)। রিঙ্কুর নায়ক হয়ে ওঠার দিন হতাশায় ডুবেছিলেন যশ। কিন্তু ম্যাচের পর রিঙ্কু তাঁকে মেসেজ করতে ভোলেননি। কী লিখেছিলেন, এবার নিজেই জানালেন সে কথা।
পরপর পাঁচ ছক্কা হজম করা যে কোনও বোলারের কাছেই দুঃস্বপ্ন। তার উপর যশ তো তরুণ। এমন ধাক্কা সামলানো বেশ কঠিন। তবে তাঁর বাবা চন্দ্রপল দয়াল জানান, ড্রেসিংরুমে তাঁর ছেলেকে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন সতীর্থরা। হতাশায় ভেঙে পড়া যশকে চাঙ্গা করেন খোদ গুজরাট ক্যাপ্টেন হার্দিক পাণ্ডিয়া (Hardik Pandya)। চন্দ্রপল দয়াল বলেন, “পুরো দুঃস্বপ্নের মতো ছিল। ড্রেসিংরুমে ওকে সবার মাঝে বসিয়ে সান্ত্বনা দেওয়া হয়। তারপর পরিবেশ হালকা করতে নাচ-গানও হয়। যশ জানায় ও ঠিকমতো বলটা গ্রিপ করতে পারছিল না। স্লোয়ার করতে গেলেও হাত পিছলে গিয়েছিল।”
এমন হতাশার মুহূর্তে কোনও বোলারকে ধমক দেওয়া হলে কিংবা কটাক্ষ করা হলে, আত্মবিশ্বাস আরও তলানিতে চলে যায় তাঁর। এই সময় তাঁর পাশে দাঁড়ানোই সেরা ওষুধ। তাই নিজের অভাবনীয় ইনিংসের মাঝেও যশকে সান্ত্বনা দিতে ভোলেননি রিঙ্কু। কেকেআর (KKR) তারকা যশকে মেসেজে লেখেন, “মাথা তোলো বন্ধু। এটা কেবল একটা কঠিন দিন মাত্র। সেরা ক্রিকেটারদের জীবনেও এমন দিন আসে। তুমি চ্যাম্পিয়ন। আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরবে তুমি।”
Chin up, lad. Just a hard day at the office, happens to the best of players in cricket. You’re a champion, Yash, and you’re gonna come back strong 💜🫂@gujarat_titans pic.twitter.com/M0aOQEtlsx
— KolkataKnightRiders (@KKRiders) April 9, 2023
যশের বাবা মনে করছেন, রিঙ্কু ও যশ, দু’জনই ঘরোয়া ক্রিকেটে উত্তরপ্রদেশের হয়ে খেলেন। পরস্পরের খেলার ধরন জানেন। সেই কারণেই যশের বল বুঝতে পেরেছিলেন। তবে পরের ম্যাচে যশকে খেলানো হয় কি না, সেটাই এখন লাখ টাকার সওয়াল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.