স্টাফ রিপোর্টার: প্রথম জন, এক সময় দিল্লি ক্যাপটালসের (DC) অধিনায়ক ছিলেন। আইপিএলে ফাইনালে তুলেছিলেন টিমকে। মাঝে কাঁধের চোটে গত বছরের আইপিএলের (IPL) প্রথম দিকটা খেলতে পারলেন না। টিম নতুন অধিনায়ক হিসাবে বেছে নিল ঋষভ পন্থকে (Rishab Pant) । করোনায় থেমে থাকা গত আইপিএল বছরের শেষ ভাগে আবার শুরু হল যখন, তিনি আবিষ্কার করলেন যে, টিম আর তাঁকে অধিনায়ক ভাবছে না। বরং অধিনায়ক পন্থই থাকছেন। ইনি– শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। আগে দিল্লি ক্যাপিটালসে ছিলেন। বর্তমানে কেকেআর অধিনায়ক।
দ্বিতীয় জন, তাঁর আবার গত কয়েকটা বছর কেকেআর (KKR) সংসারে দুঃসহ কেটেছে। দেশের একমাত্র চায়নাম্যান বোলার হওয়া সত্ত্বেও কেকেআর তাঁকে ভাবত না। বসিয়ে রাখত ডাগআউটে। তাঁর ঘনিষ্ঠদের রাগ এখনও যায়নি কেকেআরের উপর থেকে। এখনও কেকেআর নামটা শুনলে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন তাঁরা। বলে দেন, কী করে দেশের অন্যতম সেরা স্পিনারের কেরিয়ারের বারোটা বাজাচ্ছিল কেকেআর। ছাড়ত না, খেলাতোও না। ইনি– কুলদীপ যাদব। যিনি এবার দিল্লি ক্যাপটালস জার্সিতে। নিয়মিত খেলছেন। বিপক্ষকে বিভ্রান্ত করে উইকেটও তুলছেন।
শুক্রবার সন্ধের দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেল, পাশাপাশি দাঁড়িয়ে একটা ছবি দিয়েছেন দুই টিমের অধিনায়ক পন্থ আর শ্রেয়স আইয়ার। কিন্তু রবিবাসরীয় মুম্বইয়ে যখন শ্রেয়স নামবেন যখন, দিল্লির দিনগুলো কি মনে পড়বে না? একই কথা প্রযোজ্য কুলদীপ নিয়েও। অধুনা ক্রিকেটবিশ্বে কেউ এ সব নিয়ে প্রকাশ্যে বলে না। ফ্র্যাঞ্চাইজি পৃথিবীর নির্মম আইন সবারই গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দিনের শেষে পারফর্মার তো! ভেতরে ভেতরে জ্বলুনি না হওয়াটাই আশ্চর্যের।
অতএব– শ্রেয়স বা কুলদীপ মুখে কিছু বলুন না বলুন, চোরা প্রতিশোধস্পৃহা কাজ করতে পারে মাঠে নামলে। দিল্লি অবশ্য এ সব মুখরোচক ট্যাগলাইন নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে টিম নিয়ে বেশি ভাবছে। পাওয়ার প্লেকে পুরোদস্তুর ব্যবহার করতে চাইছে। দিল্লির হয়ে যিনি গত ম্যাচে ঝড় তুলে দিয়েছিলেন, সেই পৃথ্বী শ এ দিন এক অনুষ্ঠানে বলে গেলেন, “পাওয়ার প্লে-তে আমাদের ভাল খেলাটা খুব জরুরি। কারণ, টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ছ’ওভারের গুরুত্ব মারাত্মক। আমাদের প্রথম দু’টো ম্যাচে পাওয়ার প্লে-তে উইকেট চলে যাচ্ছিল। লখনউ ম্যাচ আমরা হারলেও সেটা শুধরেছি। সেটাকেই চালিয়ে যেতে হবে। পাওয়ার প্লে-তে একেবারেই উইকেট দেওয়া চলবে না। আর সেটা করতে পারলে বিপক্ষকে চাপে রাখা যাবে।”
দিল্লি ওপেনারকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কাগজে-কলমে টিমটা এমন রত্নখচিত। কিন্তু মাঠে সে ভাবে পারছে না কেন? উত্তরে পৃথ্বী বললেন, “একটা জিনিস বুঝতে হবে। আমাদের টিমে নতুন মুখ অনেক। তাই সময় প্রয়োজন একটু গুছিয়ে নিতে। একে অন্যকে বুঝতে। সেট হওয়ার জন্য একটু সময় লাগে।’’ কেকেআর– তারা আবার আরও এক কামিন্স ঝড়ের প্রার্থনায়। এ দিন নেটে মুম্বই ম্যাচের মতোই আবারও ঝড় তুললেন কামিন্স। পরের পর বড় হিট মেরে গেলেন। খবর যা, তাতে দিল্লির বিরুদ্ধে হয়তো জয়ের কম্বিনেশন ভাঙবে না কেকেআর। রাতারাতি কোনও পরিবর্তন না হলে একই টিম নামছে। অ্যারন ফিঞ্চ সবে এসেছেন। শুক্রবার তাঁর নিভৃতাবাস শেষ হবে। কোনও বিদেশি চোট-টোট না পেলে তাঁরও নামার কথা নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.