আলাপন সাহা: মরশুমের প্রথম ম্যাচ। অন্য সময় হলে খেলা শেষের পর মাঠে নেমে পড়তেন। স্টেডিয়াম ঘুরতেন। গ্যালারির উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দিতেন ভালোবাসার চুম্বন। কিন্তু শনিবার সে’সব কিছুই হল না। আরসিবির (RCB) বিরুদ্ধে ইডেনে কেকেআরের (KKR) রেকর্ড বরাবরই খুব ভালো। কেউ হয়তো ভাবতেও পারেননি কেকেআরকে এভাবে হারতে হবে বিরাট কোহলিদের কাছে। নিশ্চিতভাবে বলা যায়, শাহরুখ খান নিজেও ভাবেননি। একে তো কুৎসিত হার। তার উপর আবার প্রথম ম্যাচের পরই কেকেআর বনাম কিউরেটর শুরু হয়ে গেল।
নাইটদের বোলিংয়ের সবচেয়ে বড় অস্ত্রই হল স্পিন। সেটা বুঝতে গেলে ক্রিকেট-বোদ্ধা হতে হবে না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বরুণ চক্রবর্তী দুর্ধর্ষ বোলিং করে আইপিএলে (IPL 2025) এসেছেন। আরসিবির বিরুদ্ধে চার ওভারে ৪৩ রান দিয়ে বসলেন। সুনীল নারিন খুব বেশি রান দেননি ঠিকই। কিন্তু দু’জনের কারও বোলিং দেখে মনে হয়নি বিপক্ষের ‘থ্রেট’ হতে পারেন। কেকেআরও একটা সারসত্য বুঝে গিয়েছে, ইডেনের উইকেটের চরিত্র একই থাকলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না! ইডেনের পরের ম্যাচটাই (মাঝে দুটো অ্যাওয়ে ম্যাচ আছে) সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। যাদের ব্যাটিং আইপিএলের সবচেয়ে শক্তিশালী।
প্রেস কনফারেন্সে কেকেআর অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানেকেও প্রশ্নটা করা হয়েছিল। নাইট অধিনায়ক আগুনে কোনও জবাবে দেননি। তবে বুঝিয়ে দিয়ে যান, পিচ নিয়ে খুশি হতে পারছেন না। রাহানে বলেন, “কোনও অভিযোগ করতে চাই না। তবে অবশ্যই চাইব ইডেনের পিচে বল ঘুরুক। গত দেড় দিন উইকেট কভারে ঢাকা ছিল। যার ফলে শুরুতে একটু ময়েশ্চার ছিল। হ্যাজেলউড কন্ডিশনটা খুব ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছিল। তবে উইকেট স্পিন করলে ভালোই লাগবে।” রাহানে সরাসরি কোনও অভিযোগ করলেন না ঠিকই। তবে বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন তাঁরা স্পিন-ফ্রেন্ডলি পিচ চান। চাইছেন যাতে পরের ম্যাচ থেকেই ইডেন বল ঘুরুক। কিন্তু কেকেআর অধিনায়কের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলেন ইডেন কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়। কেকেআর অধিনায়কের কথা শুনে রাতে সুজনের জবাব, “আমি যতদিন থাকব উইকেটের চরিত্র একই থাকবে। যবে থেকে কিউরেটরের দায়িত্ব নিয়েছি, ইডেনে পিচের চরিত্র কখনও বদলায়নি। আমি থাকাকালীন কখনও বদলাবেও না। তাছাড়া ওদের স্পিনাররা কী করে উইকেট পেল?”
কেকেআরের মাথাব্যথা আরও আছে। মিডল অর্ডার চূড়ান্ত ব্যর্থ। পেস অ্যাটাক অনভিজ্ঞ। বৈভব অরোরা, হর্ষিত রানারা প্রচুর রান দিয়েছেন। প্রথম ম্যাচের পর রাহানে অবশ্য কাউকে কোনও দোষ দিতে চান না। বললেন, “প্রথম ম্যাচ খেললাম। আলাদা করে কাউকে দোষ দেব না। বেশ কিছু জায়গায় আমরা ভালো করেছি। তবে ওরা তেরো ওভারের পর খুব ভালো বোলিং করেছে। পেসারদের প্রসঙ্গে বলব, প্যানিক করার কোনও দরকার নেই। স্পেনসার সাম্প্রতিক সময়ে ভালো করেছে। হর্ষিত আর বৈভবও ভালো। ওরা প্রত্যেক ম্যাচ থেকে শিখছে। এক-আধটা খারাপ দিন যেতেই পারে। তবে আমাদের টিম বাউন্স ব্যাক করবেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.