সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কামরান আকমল (Kamran Akmal) এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি (Mahendra Singh Dhoni)। দু’জনের বিশ্ব ক্রিকেটের চেনা ক্রিকেটার। কিন্তু দু’জনের পারফরম্যান্স বিচার করলে দেখা যাবে তফাত অনেকটাই। তা সেটা উইকেট কিপিং হোক কিংবা ব্যাটিং। এবার সেই কামরান আকমলই গড়লেন এমন একটি রেকর্ড, যা শুধু ধোনির কেন বিশ্ব ক্রিকেটে আর কোনও উইকেটরক্ষকের নেই। এমনকী গিলক্রিষ্ট, বাউচার বা সাঙ্গাকারার মতো কিপারদেরও এই রেকর্ড নেই। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
আসলে পাক ক্রিকেটার আকমল প্রথম উইকেটরক্ষক হিসেবে T-20 ক্রিকেটে ১০০টি স্ট্যাম্পিংয়ের নজির গড়েছেন। যা বিশ্ব ক্রিকেটে আরও কোনও উইকেটরক্ষক করে দেখাতে পারেননি। এমনকী ধোনিরও নেই এই রেকর্ড। পাকিস্তানের (Pakistan) জাতীয় টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে সাউদার্ন পাঞ্জাব এবং সেন্ট্রাল পাঞ্জাবের ম্যাচে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি। সাউদার্নের পাঞ্জাবের অধিনায়ক সান মাসুদকে স্ট্যাম্প করার পরই এই রেকর্ডের মালিক হন আকমল। এরপর পাকিস্তান ক্রিকেট দলের পক্ষ থেকে টুইট করেও একথা জানানো হয়।
এদিকে, লন্ডন থেকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হতে পারে প্রাক্তন পাকিস্তানি ক্রিকেটার নাসির জামশেদকে (Nasir Jamshed)। এর আগে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে এই পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে ১৭ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। পাকিস্তান সুপার লিগ (PSL) এবং বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (BPL)–এ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
২০১৮ সালে দুবাইয়ে পিএসএলে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড বনাম পেশোয়ার জালমির ম্যাচে সতীর্থ ক্রিকেটারদের ফিক্সিং করতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন নাসির। অভিযোগ এমনই। আর সেই জন্য জুয়াড়ির কাছ থেকে তিনি টাকা নেন বলে অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। ২০১৬ সালে বিপিএলেও স্পট ফিক্সিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন নাসির। তবে শেষমেশ জুয়াড়ির থেকে টাকা নিতে পারেননি। নাসির প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু নিজেকে নির্দোষ বলে প্রমাণও করতে পারেননি। ফলে আদালত তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা করে। এহেন নাসির অবশেষে জেল থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন। বার্মিংহামে স্ত্রী এবং কন্যা থাকলেও এরপরই ব্রিটেনের নিয়মানুযায়ী নাসিরকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। তবে ইতিমধ্যেই এর বিরুদ্ধে আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। তবে রায় তাঁর পক্ষে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.