কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১৭৪/৮ (রাহানে ৫৬, নারিন ৪৪, ক্রুণাল ২৯/৩)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১৭৭/৩ (কোহলি ৫৯, সল্ট ৫৬, নারিন ২৭/১)
৭ উইকেটে জয়ী আরসিবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতায় বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। ঝড়ের খবরও ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটা না হওয়ায় হাসি ফোটে নাইট ভক্তদের মধ্যে। ইডেনে কিং খানের রাজকীয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও ছিল। কিন্তু ব্যাটে ঝড় তুলে শেষ হাসি হাসলেন আরেক ‘কিং’। তিনি কোহলি। ইডেনে আগুনে মেজাজে হাজির কোহলি আর নাইট প্রাক্তনী ফিল সল্ট। দুজনের জুটিতে আরসিবি একপ্রকার হাসতে হাসতে জিতল রে…। কেকেআরকে ৭ উইকেটে হারিয়ে আইপিএল অভিযান শুরু বেঙ্গালুরুর।
ইডেনে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি (RCB) অধিনায়ক রজত পাতিদার। শুরুতে কুইন্টন ডি’ককের উইকেট হারালেও নাইটদের (KKR) ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে ও সুনীল নারিন। দুজনের জুটিতে ১০০-র উপর রান উঠে যায়। কিন্তু তারপরই ভেলকি দেখাতে শুরু করেন আরসিবি স্পিনার ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। প্রথমে রশিখ দার ফেরালেন নারিনকে (৪৪)। হাফসেঞ্চুরি করার পরই ক্রুণালের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন রাহানে। তারপর মিডল অর্ডার কার্যত ধসে গেল। ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও রিঙ্কু, দুজনকেই বোল্ড করলেন ক্রুণাল। ‘মাসল পাওয়ার’ দেখানো হল না রাসেলের। প্রাক্তন নাইট স্পিনার সুয়াশ শর্মার বলে আউট হলেন রাসেল। ১০৭ রানে ১ উইকেট থেকে ১৫০ রানে ৬ উইকেট হয়ে যায় নাইটরা। শেষের দিকে অঙ্গকৃষ রঘুবংশী কিছুটা সামাল দেন। অবশেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানে থামে নাইটদের ইনিংস।
গতবার ইডেন ছিল ব্যাটারদের স্বর্গ। সেখানে ১৭৫ রানের লক্ষ্য একেবারেই বড় কিছু নয়। সেটাকে দেখতে আরও ছোট করে আনলেন দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও বিরাট কোহলি। প্রথম জন নাইট প্রাক্তনী। আরও স্পষ্ট করে বললে গতবার কেকেআর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কারিগর। এবার নিলাম টেবিল থেকে তাঁকে কিনেছে আরসিবি। আর নাইটদের বিরুদ্ধে যেন জানিয়ে দিলেন কেকেআর কী ভুল করেছে! অন্যদিকে ‘কিং’ কোহলি। টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন। ফর্ম নিয়েও মাঝেমধ্যে কটাক্ষ শুনতে হয়। সেই সব কিছু বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন তিনি। যে বরুণকে দিনকয়েক আগেও রহস্যময় মনে হচ্ছিল, তিনি যেন রানের প্যান্ডোরার বক্স খুলে দিলেন। তাঁর এক ওভারে সল্ট মারলেন তিনটি চার, একটি ছক্কা। যে হর্ষিত রানা গতবার আগুন ঝরিয়েছিলেন, তাঁকে কার্যত অসহায় মনে হচ্ছিল। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বৈভব অরোরার। তাঁর এক ওভারে উঠল ২০ রান। প্রথম ৬ ওভারে উঠল ৮০ রান। ওখানেই তো ম্যাচ প্রায় ‘অর্ধেক’ জেতা হয়ে গিয়েছিল। বিরাট-রাজত্বের মাঝে কেকেআর অধিনায়ক রাহানের অসহায় মুখ কিংবা বিমর্ষ শাহরুখ খানকে দেখে মনে হচ্ছিল, ‘পিকচার তো এখানেই শেষ’।
সল্ট ৫৬ করে ফিরে গেলেও রয়ে গেলেন কোহলি। কেন তাঁকে ‘চেজমাস্টার’ বলা হয়, সেটা আবারও প্রমাণ করে দিলেন। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ৫৯ রানে। দেবদত্ত পাড়িক্কল, রজত পাতিদার, লিভিংস্টোনরাও সঙ্গ দিলেন। শেষ পর্যন্ত আরসিবি ম্যাচ জিতল ৭ উইকেটে, ২২ বল হাতে রেখে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.