ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইপিএলের মাঝেই নতুন এক বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। আম্পায়াররা মাঝেমাঝেই ব্যাট পরীক্ষা করে দেখছেন। বিসিসিআইয়ের নির্দেশেই আম্পায়াররা এমন দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, বিসিসিআই কেন এমন নির্দেশ দিল? ব্যাটের কোন কোন দিকই বা খতিয়ে দেখা হচ্ছে?
আসলে চলতি আইপিএলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) একটি কড়া নিয়ম চালু করেছে। প্রথমবার এই নিয়ম প্রয়োগ হচ্ছে। ম্যাচ চলাকালীন ক্রিকেটারদের ব্যাটের আকার নিয়ে সন্দেহ হলে সেই ব্যাট পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আম্পায়ারদের। গজ টেস্টে ব্যাটাররা উত্তীর্ণ হলেই তাঁরা সেই ব্যাট নিয়ে মাঠে নামতে পারবেন।
আইপিএলের কোড অফ কনডাক্টের ৫.৭ ধারা অনুযায়ী, ব্যাটের দৈর্ঘ্য ৩৮ ইঞ্চি বা ৯৬.৫২ সেন্টিমিটারের বেশি হতে পারবে না। আর তা চওড়ায় হবে ৪.২৫ ইঞ্চি বা ১০.৮ সেমি। তাছাড়াও ব্লেড ২.৬৪ ইঞ্চির বেশি মোটা হওয়া চলবে না। ব্যাটের কানা হবে সর্বাধিক ১.৫৬ ইঞ্চি। চলতি আইপিএলে ফিল সল্ট এবং শিমরন হেটমায়ারের ব্যাট পরীক্ষা করে দেখেছিলেন আম্পায়ার। যদিও দুই ব্যাটারই পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।
আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “বিসিসিআই স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। কোনও ব্যক্তি যাতে ভেবে না বসেন কেউ বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। আমরা সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।”
প্রত্যেক ম্যাচের আগেই ড্রেসিংরুমে ব্যাটের মাপ পরীক্ষা করে দেখেন আম্পায়াররা। আম্পায়ারদের পরীক্ষায় সেই ব্যাট পাশ হলে তবেই ব্যাটাররা তা নিয়ে মাঠে নামতে পারবেন। কিন্তু এরপর প্রশ্ন হল, আম্পায়াররা তবে মাঠেও কেন ব্যাটের মাপ পরীক্ষা করছেন? আসলে যে ব্যাট সাজঘরে পরীক্ষা হচ্ছে, সেই ব্যাট নিয়েই কি নামছেন ক্রিকেটাররা? সেই সন্দেহ দূর করতেই আম্পায়াররা ফের গজ দিয়ে ব্যাটের মাপ পরীক্ষা করে দেখছেন। উল্লেখ্য, ব্যাট নির্মাতারাও বিসিসিআইয়ের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.