চেন্নাই সুপার কিংস: ২১৭/৭ (ঋতুরাজ-৫৭, কনওয়ে-৪৭, উড-৪৯/৩, বিষ্ণোই-৩৮/৩)
লখনউ সুপার জায়ান্টস: ২০৫/৭ (মায়ার্স-৫৩, পুরান-৩২, মঈন আলি-২৬/৪)
১২ রানে জয়ী চেন্নাই সুপার কিংস
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিপকে আবার দেখা যাবে ধোনি ধামাকা। বলা যাবে, মাহি মার রাখা হ্যায়। এই প্রতীক্ষায় কেটে গিয়েছে পাক্কা এক হাজার দিন। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান। লখনউয়ের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে চিপকে পা রাখতেই ‘ধোনি’ শব্দব্রহ্মে গর্জে উঠল চেন্নাই। আর তারপরই সেই চেনা হেলিকপ্টার শটে বলকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দিলেন ক্যাপ্টেন কুল। দু’টি ছক্কা মেরেই আউট হয়ে যান ঠিকই, কিন্তু ততক্ষণে ইতিহাস রচনা হয়ে গিয়েছে। আইপিএলে (IPL 16) ৫ হাজার রানের মালিক হয়ে গিয়েছেন মাহি। আর এই স্মরণীয় মুহূর্ত আরও স্মরণীয় হয়ে রইল চেন্নাইয়ের জয়ে ফেরা দিয়ে।
🚨 Milestone Alert 🚨
5️⃣0️⃣0️⃣0️⃣ runs in #TATAIPL for magnificent MSD! 🫡🫡
Follow the match ▶️ https://t.co/buNrPs0BHn#TATAIPL | #CSKvLSG | @msdhoni pic.twitter.com/InAuRN5oNu
— IndianPremierLeague (@IPL) April 3, 2023
স্কোরবোর্ডে ২১৭ রান জ্বলজ্বল করলে যে কোনও প্রতিপক্ষেরই চাপে পড়ে যাওয়ার কথা। আসলে ব্যাটিং সহায়ক পিচে পাত্তাই পেলেন না পেসাররা। টস জিতে কেএল রাহুলের তাই রান তাড়া করার সিদ্ধান্ত শেষমেশ ফলপ্রসু হল না। চেন্নাইয়ের (CSK) ওপেনিং জুটি ঋতুরাজ ও কনওয়ে শুরুতেই খেলা জমিয়ে দেন। রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন লখনউ বোলাররা। আবার ঋতুরাজ তো ছক্কা হাঁকিয়ে স্টেডিয়ামে রাখা পুরস্কারের গাড়িই তুবড়ে দেন। কোনও ব্যাটারের মারা ছক্কা যদি গাড়িটিতে লাগে, তবে প্রতিটি ছক্কার জন্য টাটা মোটরস নির্দিষ্ট স্বেচ্ছ্বাসেবী সংস্থাকে বিশেষ সমাজসেবমূলক কাজের জন্য ৫ লক্ষ টাকা দেয়। এদিন তাই ঋতুরাজের ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে দল তো সুবিধা পেলই, উপকৃত হল স্বেচ্ছ্বাসেবী সংস্থাও।
তবে সিএসকে’র মিডল অর্ডারকে ধাক্কা দেন মার্ক উড ও রবি বিষ্ণোই। দু’জনেই তুলে নেন তিনটি করে উইকেট। আর ধোনি জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে ৩ নম্বর বলেই আউট হন। জবাবে দুরন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাটিং করেন লখনউ ব্যাটাররা। সিএসকে’র রানের পাহাড় দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়তো একপেশে ম্যাচেই জিতে যাবেন ধোনিরা। কিন্তু তেমনটা একেবারেই হয়নি। মায়ার্স, পুরানদের দুর্দান্ত লড়াই প্রায় জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছিল সুপার জায়ান্টসদের। তবে মঈন আলির স্পিনে জয় অধরাই থেকে গেল তাদের।
প্রথম ম্যাচে ধোনির নেতৃত্বের গলদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এদিন শেষ দুই ওভারে ক্যাপ্টেন কুলের মগজাস্ত্রের কাছেই কার্যত হারল লখনউ। ১৯ তম ওভারে তরুণ রাজবর্ধনকে বল করতে পাঠান ধোনি। তাঁর ওয়াইড বলেও দেন হাততালি। বুঝিয়ে দেন, বাউন্ডারি রোখাটাই লক্ষ্য। আর শেষ ওভারে বল তুলে দেন তুষার দেশপাণ্ডের হাতে। একটি নো বল করলেও বাকিটা নিরাশ করেননি অধিনায়ককে। তবে ধোনিবাহিনী জিতলেও সিএসকে’র ফিল্ডিং ও পেস বিভাগ নিয়ে চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। একাধিক সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করে ম্যাচ আরও কঠিন করে দিয়েছিলেন চেন্নাই তারকারাই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.