সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবারের আইপিএলে (IPL 2022) আগুন ঝরাচ্ছেন উমেশ যাদব (Umesh Yadav)। তিন ম্যাচ খেলে উমেশের ঝুলিতে আটটি উইকেট। এহেন উমেশ যাদব বলেছেন, কয়লা খনিতে থেকে জাতীয় দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখা দিবাস্বপ্ন দেখা ছাড়া কিছু নয়।
দেশের হয়ে ৫২টি টেস্ট ম্যাচ, ৭৫টি ওয়ানডে এবং সাতটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন উমেশ। দু’ বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) তাঁকে ২ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছে। নাইট শিবিরে এর আগেও খেলেছেন উমেশ যাদব। ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত খেলেছিলেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যও ছিলেন উমেশ যাদব।
৩৪ বছর বয়সি এই পেসার কেকেআরের ইউটিউব চ্যানেলে তাঁর উত্থানের কাহিনি জানিয়েছেন। উমেশ যাদবকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”আমি যেখান থেকে উঠে এসেছি, সেখানকার খুব কম সংখ্যক ছেলেই দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখত। ক্রিকেট খেলা এবং তা নিয়ে স্বপ্ন দেখাই ছিল দিবাস্বপ্ন। কিট, ব্যাট, প্যাড, জুতো এগুলো কেনার মতো পয়সা ছিল না। কারণ ওই ছেলেগুলোর বাবারা খনিতে কাজ করত। হাড়ভাঙ্গা খাটনি খাটতে হতো। আমার অবস্থাও ওদের মতোই ছিল। সেই সময়ে আমি কখনও ভাবিনি যে দেশের হয়ে খেলব একদিন। তা ছিল আমার কল্পনার অতীত।”
২০১০ সালের জিম্বাবোয়ে সফরে সুরেশ রায়নার নেতৃত্বে জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে-তে অভিষেক ঘটেছিল উমেশ যাদবের। ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে উমেশ যাদবই টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন তিনি। তাঁর আগে ছিলেন কেবল অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক এবং নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট। সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে সেমিফাইনালে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিল ভারত। উমেশ যাদব ১৮টি উইকেট নিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গে উমেশ যাদব বলছেন, ”২০১৪ সালে কেকেআরের চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলাম আমি। তার পরের বড় মুহূর্ত আমার কাছে ছিল ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে আমি সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলাম। সাদা বলে পরিক্রমা শুরু সেই থেকেই।” ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ভারতের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী শেষবার দেশের হয়ে ওয়ানডে খেলেন ২০১৮ সালে। কত দ্রুত সব বদলে যায়। বিশ্ময় জাগে উমেশের মনে। তাই দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে এই পেসার বলেন, ”এটাই জীবন। এগিয়ে যেতে হয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.