চেন্নাই সুপার কিংস: ৯৭/১০ (ধোনি-৩৬*, স্যামস-১৬/৩)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১০৩/৫ (তিলক-৩৪*, মুকেশ-২৩/৩)
৫ উইকেটে জয়ী মুম্বই
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইপিএলের (IPL 2022) প্লে অফে যাওয়ার আশা আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians)। চেন্নাই সুপার কিংসেরও (Chennai Super Kings) প্লে অফে যাওয়ার রাস্তা ছিল দুর্গম। এমন অবস্থায় লিগ তালিকার তলানিতে থাকা দুই দলের লড়াইয়ে চেন্নাই সুপার কিংসকে পাঁচ উইকেটে হারাল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এদিন হারার ফলে আইপিএল থেকে সরকারি ভাবে ছিটকে গেল চেন্নাই। প্লে অফে যাওয়ার সবরকম রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল ধোনিদের জন্য।
টস জিতে চেন্নাইকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। মুম্বই বোলারদের দাপটে মাত্র ৯৭ রানে শেষ হয়ে যায় সিএসকে। ড্যানিয়েল স্যামস নেন তিন-তিনটি উইকেট। রান তাড়া করতে নেমে চেন্নাইয়ের মুকেশ চৌধুরী শুরুতেই আগুন জ্বালান। তাঁর দাপটে একসময়ে ঠকঠকানি ধরে যায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংসে। চার-চারটি উইকেট দ্রুত হারিয়ে মুম্বই নিজেদের বিপন্ন করে ফেলে। স্কোর বোর্ড বলছিল, চার উইকেট হারিয়ে মুম্বইয়ের রান ৩৩। মুম্বই সমর্থকরা হতাশ। সেই অবস্থা থেকে মুম্বইকে টেনে তোলার কাজ করেন তিলক ভার্মা ও হৃত্বিক। দু’ জনে ৪৮ রান জোড়ার পরে মইন আলির বলে বোল্ড হন হৃত্বিক (১৮)। বাকি কাজ সারেন তিলক (অপরাজিত ৩৪)।
২০১১ সালের বিশ্বকাপে এই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই স্বপ্নের ইনিংস খেলেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। নুয়ান কুলশেখরাকে ছক্কা মেরে ভারতকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন। ১১ বছর পরে সেই পয়মন্ত মাঠেই হার মানতে হল ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসকে। মুম্বইয়ের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হল চেন্নাইকে। প্রথমে ব্যাট করে একশো রানও করতে পারলেন না সিএসকে-র ব্যাটাররা। শুরু থেকেই হলুদ জার্সির ব্যাটাররা এলেন আর গেলেন। লড়লেন কেবল ধোনি একা। কিন্তু তাঁর সেই লড়াই কাজে লাগল না এদিন। একদিকে দাঁড়িয়ে তাঁকে দেখতে হল দলীয় ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা। শেষমেশ চেন্নাইয়ের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৬ ওভারে। ধোনিরা করেন মাত্র ৯৭ রান। চেন্নাই অধিনায়ক শেষপর্যন্ত অপরাজিত থেকে যান ৩৬ রানে।
মুম্বই ও চেন্নাই ম্যাচে বিতর্কের গন্ধ লেগে রইল। ওয়াংখেড়ের বাতিস্তম্ভের সব আলো না জ্বলায় ঠিক সময়ে টস করতে নামতে পারেননি দুই দলের দুই অধিনায়ক। চেন্নাইয়ের ইনিংসের শুরু থেকেই বিতর্ক। দ্বিতীয় বলেই এলবিডব্লিউ হন কনওয়ে (০)। তিনি আউট নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু ডিআরএস নিতে পারেননি ওয়াংখেড়েতে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে। ডিআরএস পরিষেবা বন্ধ ছিল বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ধাক্কায়। ফলে রিভিউ নেওয়ার আবেদনও করতে পারেননি তিনি। রবিন উত্থাপ্পাও এলবিডব্লিউ হন। তিনিও রিভিউ পরিষেবা নিতে পারেননি। ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড় করলেন মাত্র ৭ রান। মইন আলি খাতা খোলেননি। অম্বাতি রায়ডুকে (১০) উইকেটের পিছনে তালুবন্দি করেন ইশান কিষান। শিবদ দুবে (১০), ডোয়েন ব্রাভোরা (১২) দুই অঙ্কের রানে পৌঁছলেন বহু কষ্টে। ধোনি অবশ্য খুব সহজেই বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি হাঁকাচ্ছিলেন। উইকেটে যে মোটেও জুজু নেই, তা দেখিয়ে দেন তিনিই। কিন্তু তাঁর সতীর্থরা রান করতে ব্যর্থ।
৯৭ রানের পুঁজি নিয়ে ম্যাচ বের করা সম্ভব নয়। তবুও মরণকামড় দিয়েছিল চেন্নাই। প্রথম ওভারেই উইকেট যায় মুম্বইয়ের। মাত্র ৬ রান করে আউট হন ইশান কিষান। মুম্বইয়ের ইনিংসে শুরুর ধাক্কা দেন মুকেশ চৌধুরী। রোহিত শর্মা ১৮ রানে ধরা পড়েন ধোনির হাতে। তিনি সিমরজিৎ সিংয়ের শিকার। ড্যানিয়েল স্যামস (১) ও স্টাবস (০) দ্রুত ফেরেন মুকেশ চৌধুরীর বলে। কিন্তু তার পরে ম্যাচের দখল নিয়ে নেন হৃত্বিক ও তিলক। অবশ্য জয়ের গন্ধ যখন ধীরে ধীরে পেতে শুরু করছে মুম্বই ঠিক তখন মইন আলি ফিরিয়ে দেন হৃত্বিককে। তিলক অপরাজিত থেকে ম্যাচ জেতান মুম্বইকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.