কলকাতা নাইট রাইডার্স: ২০ ওভারে ১৩৩/৯ (ত্রিপাঠি ৩৬, কার্তিক ২৫, মরিস ৪/২৩)
রাজস্থান রয়্যালস: ১৮.৫ ওভারে ১৩৪/৪ (সঞ্জু ৪২*, মিলার ২৪*, বরুণ ২/৩২)
রাজস্থান রয়্যালস ৬ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ হায়দরাবাদের (Sunrisers Hyderabad) বিরুদ্ধে জেতার পর থেকে সময়টা যেন কিছুতেই ভাল যাচ্ছে না কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders)। রোহিতের মুম্বই, বিরাটের ব্যাঙ্গালোর এবং ধোনির চেন্নাইয়ের পর চোট-আঘাতে জর্জরিত রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) বিরুদ্ধেও জিততে পারলেন না ইওন মর্গ্যানরা। ফের একবার ব্যাটিং ব্যর্থতাই ডোবাল নাইটদের। এদিন প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ১৩৩ রান করে নাইটরা। জবাবে সাত বল বাকি থাকতে চার উইকেট হারিয়েই নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রাজস্থান।
বেন স্টোকস বাঁ-হাতের আঙুলে চোটের কারণে আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন। নাইটদের বিরুদ্ধে নামার আগে গত শুক্রবার আরও একটি ধাক্কা খায় রাজস্থান শিবির। চোট পুরোপুরি না সারায় এবারের আইপিএল থেকে ছিটকে যান দলের তারকা পেসার তথা আরেক ইংল্যান্ড ক্রিকেটার জোফ্রা আর্চারও। ফলে ধারেভারে অনেকটাই পিছিয়ে শুরু করেছিল রাজস্থান। তা সত্ত্বেও জঘন্য ব্যাটিংয়ের খেসারত দিতে হল শাহরুখ খানের দলকে।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। আর তাঁর সিদ্ধান্তের মান রাখেন দলের বোলাররাও। শুরুতেই ১১ রান করে ফিরে যান শুভমন গিল। এরপর আরেক ওপেনার রানা এবং ত্রিপাঠি দলের হাল ধরেন। কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষ হতেই ছন্নছাড়া হয়ে পড়েন নাইট ব্যাটসম্যানরা। পরপর ফিরে যান রানা (২২), নারিন (৬) এবং মর্গ্যান (০)। এর মধ্যে কেকেআর অধিনায়ক কোনও বল খেলারও সুযোগ পাননি। ত্রিপাঠির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন তিনি। এরপর ব্যক্তিগত ৩৬ রান করে আউট হয়ে যান ত্রিপাঠিও। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৩ রানেই থেমে যায় নাইটদের ইনিংস। কার্তিক (২৫) রান পেলেও ব্যর্থ রাসেল-কামিন্সরা। এদিকে, রাজস্থানের হয়ে আবার দুরন্ত বোলিং করেন ক্রিস মরিস। চার ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নেন এই প্রোটিয়া অলরাউন্ডার।
মাত্র ১৩৪ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই অবশ্য বাটলারের উইকেট হারায় রাজস্থান। মাত্র ৫ রান করে বরুণের বলে আউট হয়ে যান ইংরেজ ব্যাটসম্যান। এরপর আরেক ওপেনার যশস্বীও বেশিক্ষণ ক্রিজে ছিলেন না। ২২ রান করে আউট হয়ে যান তিনিও। তবে অধিনায়ক সঞ্জু এবং শিবম দুবে রাজস্থান ইনিংসের হাল ধরেন। দুজনে মিলে জুটিতে ঝোড়ো ৩৫ রান যোগ করেন। পরবর্তীতে শিবম (২২) এবং রাহুল তেওটিয়ার (৫) উইকেট হারায় রাজস্থান। যদিও তাতে তাঁদের জয় আটকায়নি। অধিনায়ক সঞ্জু এবং ডেভিড মিলারের (২৪*) ব্যাট ভর করে সাত বল বাকি থাকতেই নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রাজস্থান। ৪২ রান করে শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন সঞ্জু। নাইট বোলারদের মধ্যে বরুণ দুটি উইকেট পান। এছাড়া একটি করে উইকেট পান মাভি এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা।
এই ম্যাচ জেতায় কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে রয়্যালস শিবির। উলটোদিকে, টানা চারটি ম্যাচ হেরে প্লে-অফের রাস্তা কিছুটা হলেও কঠিন করে ফেলল কেকেআর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.