মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ২০ ওভারে ১৫০/৫ (ডি’কক ৪০, পোলার্ড ৩৫*, বিজয় শংকর ২/১৯)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১৯.৪ ওভারে ১৩৭/১০ (বেয়ারস্টো ৪৩, ওয়ার্নার ৩৬, রাহুল চাহার ৩/১৯)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৩ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডেথ ওভারে দুরন্ত বোলিং জসপ্রীত বুমরাহ-ট্রেন্ট বোল্টের। মাঝের ওভারে আবার স্পিনের ভেলকি রাহুল চাহারের। দলের তিন বোলারের দুরন্ত বোলিংয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (Sunrisers Hyderabad) বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ জিতে নিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians)। একেবারে গত কেকেআর ম্যাচের মতোই। সেদিনও ডেথ ওভারে দুরন্ত বোলিং ম্যাচ জিতিয়েছিল রোহিতদের। শুক্রবারও একই ছবিই ধরা পড়ল চেন্নাইয়ে। মুম্বইয়ের দেওয়া ১৫১ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ১৩ রান দূরে থেমে গেল হায়দরাবাদের ইনিংস। কাজে এল না বেয়ারস্টোর দুর্ধর্ষ ইনিংস কিংবা বিজয় শংকরের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সও।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। কুইন্টন ডি’কককে সঙ্গে নিয়ে শুরুটাও বেশ ভাল করেছিলেন। শুরুটা কিছুটা ঢিমেতালে করলেও ধীরে ধীরে স্বমহিমায় ফিরতে শুরু করেন রোহিত। তবে ২৫ বলে ৩২ রান করার পরই আউট হয়ে যান মুম্বই অধিনায়ক। তবে তার আগেই অবশ্য একটি রেকর্ডও গড়ে ফেলেন। আইপিএলে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছয় মারার রেকর্ড গড়লেন রোহিত (২১৭)। ভাঙলেন আবার চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) (২১৬) রেকর্ড।
কিন্তু এরপরই ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে হায়দরাবাদ। মুজিব উর রহমান-বিজয় শংকরদের বোলিংয়ের সামনে রান তুলতে বেগ পেতে থাকেন মুম্বই ব্যাটসম্যানরা। এই পরিস্থিতিতেই ১০ রান করে আউট হয়ে যান সূর্যকুমার যাদব। এরপর ডি’কক এবং ঈশান কিষান দলের রান এগিয়ে যেতে থাকেন। তবে কুইন্টন ব্যক্তিগত ৪০ রানের মাথায় আউট হন। তবে শেষদিকে ২২ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন পোলার্ড। ফলে শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে মুম্বইয়ের রান দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৫০ রান। হায়দরাবাদের বোলারদের মধ্যে সফল বিজয় শংকর। তিন ওভারে ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি।
১৫১ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল করেছিল হায়দরাবাদও। প্রথম উইকেটে ৬৭ রান যোগ করেন ওয়ার্নার-বেয়ারস্টো জুটি। সেসময় বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাটিং করছিলেন জনি বেয়ারস্টো। সবাই মনে করছিলেন হাসতে হাসতে ম্যাচ জিতে যাবে হায়দরাবাদ। কিন্তু ২২ বলে ৪৩ রান করে আউট হন এই ইংরেজ ব্যাটসম্যান। তবে তার আগে মারেন তিনটি চার এবং চারটি ছয়। বেয়ারস্টো আউট হতেই অবশ্য ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে মুম্বই। মাত্র ২ রান করেই আউট হয়ে যান মনীশ পাণ্ডে। এরপর ওয়ার্নারকে (৩৬) দুরন্ত রান আউট করেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। আর হায়দরাবাদ অধিনায়ক ফিরতেই ম্যাচে পুরোপুরি জাঁকিয়ে বসে মুম্বই।
এদিন বিপক্ষের মিডল অর্ডারে ভাঙন ধরান মুম্বইয়ের রাহুল চাহার। পাণ্ডে ছাড়াও এদিন শিকার বিরাট সিং এবং অভিষেক শর্মা। সবমিলিয়ে ম্যাচ শেষে চাহারের পরিসংখ্যান ৪-০-১৯-৩। ঠিক কেকেআর (KKR) ম্যাচের দিন যেভাবে বোলিং করেছিল মুম্বই। এদিনও ডেথ ওভারে সেরকমই বল করলেন বুমরাহ-বোল্টরা। তাই শেষপর্যন্ত কাজে এল না ব্যাট হাতে বিজয় শংকরের দুরন্ত লড়াইও। শেষপর্যন্ত ১৩৭ রানেই থামল ওয়ার্নারদের ইনিংস। চাহার বাদে বোল্টও এদিন তিনটি উইকেট পান। এই হারের ফলে টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত জয় অধরাই রইল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.