পাঞ্জাব কিংস: ২০ ওভারে ১২৩/৯ (মায়াঙ্ক ৩১, জর্ডন ৩০, প্রসিদ্ধ ৩/৩০)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১৬.৪ ওভারে ১২৬/৫ (মর্গ্যান ৪৭*, ত্রিপাঠি ৪১, শামি ১/২৫)
কলকাতা নাইট রাইডার্স পাঁচ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। আর সেই প্রতীক্ষা ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) জয়ে ফেরার। শেষপর্যন্ত মাঠ বদলের পরই ভাগ্য বদলাল কেকেআরের। মুম্বই, ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই, রাজস্থান- পরপর চার ম্যাচে হারার পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখল কিং খানের দল। পাঁচ উইকেটে হারাল প্রীতি জিন্টার দল পাঞ্জাব কিংসকে (Punjab Kings)। ১২৪ রান তাড়া করতে নেমে ২০ বল বাকি থাকতে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যান নাইটরা। তবে ম্যাচ সহজে জিতলেও অবশ্যই চিন্তায় রাখবে নাইটদের টপ অর্ডার। কারণ রান অল্প হলেও এদিনও ফের ব্যর্থ হন কেকেআরের উপরের দিকের ব্যাটসম্যানরা। রাহুল ত্রিপাঠি এবং অধিনায়ক মর্গ্যান দুরন্ত ব্যাটিং না করলে হয়তো বিপাকে পড়তে কলকাতাকে।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর অধিনায়ক ইওন মর্গ্যান। আর অধিনায়কের সিদ্ধান্তের মর্যাদা রাখেন কেকেআর বোলাররাও। এদিন শুরু থেকেই দুরন্ত মেজাজে বল করতে থাকেন মাভি, কামিন্স, নারিন, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণরা। ফলস্বরূপ ওপেনিংয়ে কেএল রাহুল এবং মায়াঙ্ক আগরওয়াল ৩৬ রান করলেও তাঁরই প্রীতির টিমের ব্যাটিং অর্ডারে কার্যত ধস নামে। রাহুল আউট হন ১৯ রান করে। এরপর পরপর আউট হয়ে যান গেইল (০), দীপর হুডা (১), মায়াঙ্ক আগরওয়াল (৩১), হেনরিকস (২) এবং পুরানরা (১৯)। শেষদিকে শাহরুখ খান (১৩) এবং ক্রিস জর্ডনের ব্যাটে ভর করেই ১২০ রানের গণ্ডি পেরোয় পাঞ্জাব কিংস। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৩ রানে থামে প্রীতির দলের ইনিংস। কেকেআর বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। চার ওভারে ৩০ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন তিনি। এছাড়া কামিন্স, নারিন দুটি করে উইকেট পান।
যদিও জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি কলকাতার। এদিনও শুরুতেই পরপর বেশ কয়েকটি উইকেট হারায় কেকেআর। ব্যাট হাতে ফের ব্যর্থ হন শুভমন গিল। করেন মাত্র ৯ রান। অন্যদিকে, রানা এবং নারিন খাতাই খুলতে পারেননি। তবে এরপরই নাইট ইনিংসের হাল ধরেন রাহুল ত্রিপাঠি এবং অধিনায়ক ইওন মর্গ্যান। ত্রিপাঠি অবশ্য ৩২ বলে ৪১ রান করে আউট হয়ে যান। এরপর ব্যক্তিগত ১০ রানের মাথায় রানআউট হয়ে যান আন্দ্রে রাসেল। শেষপর্যন্ত অবশ্য অধিনায়ক মর্গ্যান এবং দীনেশ কার্তিক ২০ বল বাকি থাকতেই দলকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে দেন। ৪০ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মর্গ্যান। এর পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাত হাজার রানও পূর্ণ করে ফেললেন এই ইংরেজ ক্রিকেটার। অন্যদিকে, কার্তিক অপরাজিত থাকেন ১২ রানে। পাঞ্জাব বোলারদের মধ্যে একটি করে উইকেট পান শামি, হেনরিকস, হুডা এবং অর্শদীপ সিং।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.