কলকাতা নাইট রাইডার্স: ২০ ওভারে ১৫৪/৬ (রাসেল ৪৫*, গিল ৪৩, ললিত ২/১৩)
দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৬.৩ ওভারে ১৫৬/৩ (পৃথ্বী ৮২, শিখর ৪৬, কামিন্স ৩/২৪)
দিল্লি ক্যাপিটালস সাত উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাবকে হারিয়ে জয়ের সরণিতে ফিরেছিল দল। কিন্তু পরের ম্যাচে দিল্লির বিরুদ্ধে ফের ছন্দপতন। প্রথমে টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতা এবং পরবর্তীতে বোলারদের জঘন্য পারফরম্যান্স। আর এই দুইয়ের কারণে আইপিএলে (IPL) ফের হারতে হল নাইটদের। কেকেআরের (KKR) দেওয়া ১৫৫ রান তাড়া করতে নেমে তিন উইকেট হারালেও ২১ বল বাকি থাকতেই সহজেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে গেল দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals)। ব্যাট হাতে অসাধারণ পারফরম্যান্স করলেন দিল্লির ওপেনার পৃথ্বী শ।
বৃহস্পতিবার টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঋষভ পন্থ। মোতেরায় নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে রাতের দিকে শিশির পড়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আর ব্যাট করতে নেমে দীর্ঘদিন ফর্মে না থাকা শুভমন রান করলেও কেকেআরের বাকি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা এদিন ফের ব্যর্থ হন। রানা (১৫) এবং ত্রিপাঠী (১৯) ভাল শুরু করেও আউট হয়ে যান। এরপর মাত্র তিন বলের ব্যবধানে ফিরে যান অধিনায়ক ইওন মর্গ্যান এবং সুনীল নারিনও। দু’জনকেই আউট করেন ললিত যাদব। এরপর ১২তম ওভারের শেষ বলে দলের ৮২ রানের মাথায় আউট হয়ে যান শুভমন গিলও (৪৩)। এরপর অবশ্য রাসেল ঝড় কিছুটা হলেও মান বাঁচাল কলকাতার। ২৭ বলে ৪৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন ক্যারিবিয়ান তারকা। মারেন ২টি চার এবং ৪টি ছয়। আর তাঁর এই ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সৌজন্যেই শেষপর্যন্ত ১৫০ রানের গণ্ডি পেরোয় কেকেআর শিবির। দিল্লির হয়ে দুটি করে উইকেট পান অক্ষর প্যাটেল এবং ললিত যাদব।জবাবে
ব্যাট করতে নেমে অবশ্য মারমুখী মেজাজেই ব্যাটিং করতে থাকেন পৃথ্বী শ এবং শিখর ধাওয়ান। কোনও কেকেআর বোলারই দিল্লির দুই ওপেনারকে রান করা থেকে আটকাতে পারেননি। শিখরের থেকেও বেশি মারকুটে মেজাজে ছিলেন পৃথ্বী। যেমন-মাভির প্রথম ওভার থেকেই ২৫ রান নেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। অর্থাৎ প্রথম থেকেই নিজের ইঙ্গিত স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। এরপর শিখরকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুতগতিতে রান তাড়া করতে থাকেন। তাও আবার ওভার প্রতি প্রায় দশরানের গড়ে। শেষদিকে, অবশ্য শিখর এবং পৃথ্বী দু’জনেই আউট হয়ে যান। শিখরের সংগ্রহ ৪৬ রান। অন্যদিকে, পৃথ্বী করেন অনবদ্য ৮২ রান। তাও আবার মাত্র ৪১ বলে। এর মধ্যে ছিল ১১টি চার ও তিনটি ছয়। এরপর একদম শেষদিকে পন্থেরও উইকেট হারায় দিল্লি। কিন্তু তাতেই তাঁদের জয় পাওয়া আর আটকায়নি। ২১ বল বাকি থাকতেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে গেল দিল্লি ক্যাপিটালস। কেকেআর বোলারদের মধ্যে একমাত্র সফল কামিন্স। তিনটি উইকেটই তিনি পান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.