চেন্নাই সুপার কিংস: ২০ ওভারে ২২০/৩ (দু’প্লেসি ৯৫*, ঋতুরাজ ৬৪, বরুণ ১/২৭)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১৯.১ ওভারে ২০২ (কামিন্স ৬৬*, রাসেল ৫৪, দীপক ৪/২৯)
চেন্নাই সুপার কিংস ১৮ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চেন্নাইয়ের পর মুম্বই। মাঠ বদলেও ভাগ্যের চাকা ঘুরল না কলকাতার (Kolkata Knight Riders)। খারাপ বোলিং এবং তার থেকেও খারাপ টপ অর্ডার ব্যাটিংই ডোবাল নাইটদের। রাসেলের ঝোড়ো অর্ধ-শতরান, কার্তিকের ৪০ রান এবং শেষদিকে কামিন্সের অপরাজিত ৬৬ রানের ইনিংস না থাকলে লজ্জার মুখে পড়তে হত কেকেআরকে (KKR)। কারণ চেন্নাইয়ের (Chennai Super Kings) দেওয়া ২২১ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুতেই পাঁচ উইকেট খুইয়ে ছিল নাইটরা। তবে এই তিন ব্যাটসম্যান দলকে লড়াই রেখেছিল। তবে শেষপর্যন্ত অবশ্য জয় পেল চেন্নাই। ১৯.১ ওভারে ২০২ রানে অলআউট হয়ে গেলেন মর্গ্যানরা।
বুধবার টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নাইট অধিনায়ক ইওন মর্গ্যান। কিন্তু কেকেআর অধিনায়কের সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায়। কারণ ওপেনিং জুটিতে ঋতুরাজ গায়কোয়াড এবং ফাফ দু’প্লেসি যোগ করেন ১১৫ রান। তাও আবার মাত্র ১২.২ ওভারে। ৪২ বলে ৬৪ রান করেন ঋতুরাজ। মারেন ৬টি চার ও ৪টি ছয়। এই সময় কোনও নাইট বোলারই দলকে উইকেট এনে দিতে পারেননি। এমনকী শাকিবের বদলে সুযোগ পাওয়া নারিনও দলকে এই সময় সাফল্য এনে দিতে ব্যর্থ হন। শেষপর্যন্ত ঋতুরাজকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন বরুণ। এরপর মঈন আলি করেন ১২ বলে ২৫ রান।
চার নম্বরে চেন্নাই অধিনায়ক ধোনির সংগ্রহ ৮ বলে ১৭ রান। এদিনই টুর্নামেন্টের নিজের প্রথম ছয়টিও মারেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। যা নিয়ে আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় ধোনি ভক্তদের। এদিকে, উলটোদিকে মাত্র ৬০ বলে ৯৫ রানের ইনিংস খেলেন দু’প্লেসিস। অল্পের জন্য শতরান না পেলেও শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। মারেন ৯টি চার ও ৪টি ছয়। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে চেন্নাইয়ের রান দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ২২০ রান। কেকেআর বোলারদের মধ্যে একটি করে উইকেট পান বরুণ, নারিন এবং রাসেল।
২২১ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধস নামে নাইট ব্যাটিং লাইনআপে। ৫.২ ওভারে মাত্র ৩১ রানে পাঁচ উইকেট হারায় কলকাতা। গিল (০), রানা (৯), ত্রিপাঠি (৮), মর্গ্যান (৭) এবং নারিন (৪)- প্রত্যেকেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। পাঁচটির মধ্যে চারটি উইকেটই তুলে নেন দীপক চাহার। একটি পান লুঙ্গি এনগিডি। এই সময় উইকেটকিপার হিসেবে আইপিএলে ১৫০টি আউট করার রেকর্ডও গড়েন ধোনি। তবে দ্রুত পাঁচ উইকেট পড়লেও এরপর রাসেল-কার্তিক জুটি কেকেআরকে ফের খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেন। কমে যাওয়া রানরেট বাড়াতে বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন রাসেল। অবশ্য দিল্লি যেন সত্যিই বহুদূরেই ছিল। শেষপর্যন্ত অবশ্য ২২ বলে ৫৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে স্যাম কুরানের বলে বোল্ড হন ক্যারিবিয়ান তারকা। মারেন ৩টি চার এবং ৬টি ছয়। উলটোদিকে, এর কিছু পরে আউট হয়ে যান দীনেশ কার্তিকও। তাঁর সংগ্রহ ২৪ বলে ৪০ রান।
শেষদিকে, কামিন্স (৩৪ বলে ৬৬ রান) মরণপণ চেষ্টা করেছিলেন। এমনকী কুরানের এক ওভার থেকে ৩০ রানও তোলেন। শুধু তাই নয়, ২৩ বলে নিজের অর্ধ-শতরানও পূর্ণ করেন তিনি। অপরাজিতও থাকেন। তবে তা মোটেই যথেষ্ট ছিল না। কারণ খারাপ শটে আউট হয়ে দলের অধিকাংশ তারকাই ততক্ষণে সাজঘরে। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারের আগেই ২০২ রানে গুটিয়ে যায় নাইটদের ইনিংস। ১৮ রানে ম্যাচটি হারলেন মর্গ্যানরা। ফলে আরও খানিকটা বিপাকে পড়ল শাহরুখ খানের দল।
এদিকে, এদিন দিনের শুরুতে অপর একটি ম্যাচে আবার মুখোমুখি হয়েছিল পাঞ্জাব কিংস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এই ম্যাচে প্রীতির দলকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে হায়দরাবাদ। ফলে তিনটি ম্যাচ হারের পর চতুর্থ ম্যাচে এসে অবশেষে জয়ের মুখ দেখল ওয়ার্নার ব্রিগেড।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.