ফাইল ছবি
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ২০ ওভারে ১৬৪/৫ (প্রিয়ম ৫১*, চাহার ২/৩১)
চেন্নাই সুপার কিংস: ২০ ওভারে ১৫৭/৫
হায়দরাবাদ সাত রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রান তাড়া করতে নেমে শেষপর্যন্ত ক্রিজে মহেন্দ্র সিং ধোনি থাকলে ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। ভক্তরাও তাকিয়ে থাকেন ধোনি ধামাকার দিকে। তবে এবার হয়তো এই ভাবনায় কিছুটা বদল ঘটবে। কারণ আরও একবার রান তাড়া করতে নেমে হেরে গেল চেন্নাই সুপার কিংস (Chennai Super Kings)। সাতরানে তাঁদের হারাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (Sunrisers Hyderabad)। ক্রিজে মহেন্দ্র সিং ধোনি থাকা সত্ত্বেও। ৩৬ বলে ৪৭ রান করলেও মূলত টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতা এবং সঠিক সময়ে রান রেট না বাড়ানোর খেসারত দিতে হল চেন্নাইকে। জাদেজার অর্ধশতরান কিংবা ধোনির ব্যাটিংও জেতাতে পারল না সুপার কিংসদের।
তবে এদিন ম্যাচে খেলতে নেমেই ইতিহাস গড়লেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (Mahendra Singh Dhoni)। সুরেশ রায়নাকে (১৯৩) টপকে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়লেন ক্যাপ্টেন কুল। হায়দরাবাদ ম্যাচটি ধোনির ১৯৪ তম ম্যাচ। আর বড় কোনও অঘটন না ঘটলে খুব শীঘ্রই প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে আইপিএলে ২০০ ম্যাচ খেলার রেকর্ডও গড়ে ফেলবেন ধোনি।
MS Dhoni today becomes the most capped player (194) in the history of IPL.#Dream11IPL pic.twitter.com/PwpDFcEA2E
— IndianPremierLeague (@IPL) October 2, 2020
[আরও পড়ুন: ‘সন্ত্রাসবাদী’ হামলার ছক, ১০ বছরের জেল হতে পারে অজি ক্রিকেটার খোয়াজার ভাইয়ের]
তবে এদিন টসভাগ্য তাঁর সঙ্গে ছিল না। টস জিতে নেন সানরাইজার্স অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু প্রথম ওভারেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করেন চাহার। মাত্র তিন বল খেলেই বোল্ড হন বেয়ারস্টো (০)। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে পাণ্ডে–ওয়ার্নার জুটি হায়দরাবাদের ইনিংসের হাল ধরেন। কিন্তু ২১ বলে ২৯ রান করে আউট হয়ে যান মনীশ। এরপর ১১তম ওভারে পরপর দু’বলে আউট হয়ে যান কেন উইলিয়ামসন (৯) এবং ওয়ার্নার (২৮)। তবে এদিন হায়দরাবাদের ইনিংসের হিরো কিন্তু প্রিয়ম গর্গ। ২৬ বলে অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। প্রমাণ করে দিলেন কেন এবারের আইপিএল শুরুর পূর্বে তাঁর দিকেও নজর রাখতে বলেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন চেন্নাইয়ের বোলিং লাইন আপ নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করেন তিনি। ৫১ রানের ঝোড়ো ইনিংসে মারেন ছ’টি চার এবং একটি ছয়। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন অভিষেক শর্মা (২৪ বলে ৩১)। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ওয়ার্নারদের রান দাঁড়ায় পাঁচ উইকেটে ১৬৪। চেন্নাইয়ের হয়ে চাহার দু’উইকেট নেন।
The partnership that kept us in the game all throughout 👏👏#SRH – 164/5 (20)#CSKvSRH #OrangeArmy #KeepRising pic.twitter.com/StDrRDokFk
— SunRisers Hyderabad (@SunRisers) October 2, 2020
১৬৫ রান তাড়া করতে নেমে এদিনও ব্যাটিং বিপর্যয়ে সামনে পড়ে চেন্নাই। প্রথম ১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ওঠে মাত্র ৪৪ রান। ততক্ষণে প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন ওয়াটসন (১), রায়ডু (৮), কেদার যাদব (৩) এবং ফাফ ডু’প্লেসি (২২)। এরপর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন জাদেজা এবং অধিনায়ক ধোনি। কিন্তু তখনও দিল্লি বহুদূর ছিল। ধোনি–জাদেজা জুটি দ্রুত রান তোলায় মন দেন। ধোনির থেকেও বেশি মারমুখী ছিলেন জাদেজা। কিন্তু অর্ধশতরান করে ফিরে যান তিনিও। তবে শেষপর্যন্ত চেন্নাইকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন কিন্তু সেই মহেন্দ্র সিং ধোনি। এর মধ্যে আবার ১৯ তম ওভারে একটি বল করেই চোট পেয়ে যান ভুবনেশ্বর কুমার। ফলে বড় ধাক্কা খায় হায়দরাবাদ। ওই ওভারেই আবার ধোনিকেও চোটগ্রস্ত হতে দেখা যায়। কিন্তু শেষপর্যন্ত ওষুধ খেয়েই ফের ব্যাট করতে নামেন তিনি। শেষওভারে জয়ের জন্য ২৮ রান প্রয়োজন ছিল চেন্নাইয়ের। ক্রিজে ছিলেন ধোনিও। আর ওভারের প্রথম বলেই ওয়াইড–সহ চার দিয়ে বসেন আবদুল সামাদ। ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য চারটি ছয়ের প্রয়োজন ছিল চেন্নাইয়ের। কিন্তু পারলেন না ধোনি। ওই ওভারে ২০ রানই ওঠে। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৫৭ রানে থেমে যায় চেন্নাইয়ের ইনিংস।
এর আগে ২০০৮ সালে টুর্নামেন্টের প্রথম সংস্করণে পরপর তিনটি ম্যাচে হেরেছিল ধোনির দল। কিন্তু পরবর্তীতে টুর্নামেন্টে দুরন্ত কামব্যাক করেন তাঁরা। ফাইনালেও ওঠে। এখন দেখার এবারের টুর্নামেন্টও একই রকম কিছুর সাক্ষী থাকে কি না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.