প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে এগিয়ে চলেছেন আমির।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুটো হাত নেই। তবুও দাপটের সঙ্গে ক্রিকেট খেলছেন। ওঁর নাম আমির হুসেন লোনে (Amir Hussain Lone)। বল করেন পায়ের পাতার সাহায্যে! ব্যাট ধরেন কাঁধ এবং ঘাড়ের মাধ্যমে! অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে? তবে গল্প মনে হলে এটাই কিন্তু সত্যি। এবং তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, ইচ্ছা থাককে কাউকে দমিয়ে রাখা যায় না। তাঁর খেলার ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল।
প্রতিকূলতার পাহাড় ডিঙিয়ে রূপকথার গল্প লিখছেন এই দুর্দান্ত পারফর্মার। ৩৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের দু’টি হাতই নেই। তবুও তিনি দাপিয়ে খেলছেন জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) প্যারা ক্রিকেট দলে। আমিরের খেলা দেখলে মনে হবে এতখানি প্রাণশক্তিও কারও থাকা সম্ভব!
#WATCH | Anantnag, J&K: 34-year-old differently-abled cricketer from Waghama village of Bijbehara. Amir Hussain Lone currently captains Jammu & Kashmir’s Para cricket team. Amir has been playing cricket professionally since 2013 after a teacher discovered his cricketing talent… pic.twitter.com/hFfbOe1S5k
— ANI (@ANI) January 12, 2024
কিন্তু আমিরের অবস্থা কেন এমন হল?
২০০৮ সাল। মাত্র ৮ বছর বয়সে বাবার মিলে দুর্ঘটনার শিকার হন আমির। দুটি হাতই চিরকালের জন্য বাদ চলে যায়। কিন্তু আশ্চর্য তাঁর জীবনীশক্তির জোর। দেবদূতের মতো আমিরের জীবনে এসে উপস্থিত হলেন তাঁর এক শিক্ষক। আমিরকে প্যারা ক্রিকেট কোচিং সেন্টারে ভর্তি করানো পরামর্শ দিলেন। এরপর আর পিছনে ফরে তাকাতে হয়নি।
বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরের প্যারা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আমির। ২০১৩ সাল থেকে পেশাদার ক্রিকেট খেলছেন এই ৩৪ বছরের অলরাউন্ডার। আমির বলছেন, “দুর্ঘটনার পরও আমি আশা ছাড়িনি। আমি অনেক পরিশ্রম করছিলাম। হাল ছাড়িনি একদমই। এই সময়টাতে আমাকে কেউ কোনও সাহায্য করেননি। এমনকী সরকারের তরফেও কোনও সাহায্য পাইনি। আমার প্রয়োজনও নেই। তবে এই সময়টাতে আমার পরিবার আমার পাশে ছিল সব সময়।”
অনন্তনাগের আমিরকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন শচীন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar), আশীষ নেহরার (Asish Nehra) মতো ক্রিকেটার। খুব দ্রুত আসতে চলেছে তাঁর বায়োপিক। নাম, ‘আমির’। সহস্র প্রতিবন্ধকতা জয় করে জীবনের মহাকাব্য।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.