সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিলোত্তমায় গোলাপি আলোর রোশনাই। গঙ্গাবক্ষ থেকে গোষ্ঠপাল সরণী- গোলাপি আভায় ঢেকেছে চতুর্দিক। টিম ইন্ডিয়ার প্রথম দিন-রাতের টেস্টকে ঘিরে শহরজুড়ে যেন উৎসবের মেজাজ। টিকিটের হাহাকার থেকে ক্রিকেটপ্রেমীদের উন্মাদনা, সবই চোখে পড়ছে গত কয়েকদিন ধরে। তবে এসবের মধ্যেও নিজেদের ফোকাস নষ্ট করতে নারাজ ভারতীয় দল। তাই তো নয়া রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে প্র্যাকটিসে মনোনিবেশ করেছেন বিরাট কোহলি।
শুক্রবার ভারত-বাংলাদেশ ঐতিহাসিক টেস্ট দেখতে ইডেনের গ্যালারি ভরাবেন দর্শকরা। প্রাক্তন তারকাদের উপস্থিতি থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দর্শনও করবেন তাঁরা। তারই মধ্যে আবার তাঁরা সাক্ষী থাকতে পারেন ক্যাপ্টেন কোহলির নয়া রেকর্ডের। বাংলার বাঘদের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে রানের খাতা খুলতে পারেননি ভারত অধিনায়ক। কিন্তু গোলাপি বলের টেস্টে নজির গড়ার হাতছানি কোহলির সামনে। আর মাত্র ৩২ রান করতে পারলেই প্রথম ভারত অধিনায়ক হিসেবে পাঁচ হাজার রানের মালিক হয়ে যাবেন তিনি। বিশ্বের ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে এই কৃতিত্বের অধিকারী হয়ে যাওয়ার সুযোগ কোহলির সামনে। যে তালিকার শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রেম স্মিথ। তাঁর সংগ্রহ ৮৬৫৯ রান। তাঁর পরেই দুই-তিন-চার ও পাঁচে রয়েছেন যথাক্রমে প্রাক্তন অজি তারকা অ্যালান বর্ডার (৬৬২৩), রিকি পন্টিং (৬৫৪২), ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ক্লাইভ লয়েড (৫২৩৩) এবং প্রাক্তন কিউয়ি ক্যাপ্টেন স্টিভেন ফ্লেমিং (৫১৫৬)। আপাতত কোহলির ঝুলিতে ৪৯৬৮ রান। নয়া রেকর্ড গড়ে ঐতিহাসিক টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে মরিয়া কোহলি।
গোটা শিবির যে ইডেনের বাইশ গজে নামতে মুখিয়ে রয়েছে, তা অজিঙ্ক রাহানের কথাতে আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বলেছিলেন, “আশা করি প্রত্যেকেই এই বিষয়টার (পিংক বলে খেলা) সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবে। আমরা নানা ফরম্যাটে খেলতে অভ্যস্ত। টি-টোয়েন্টির পরই টেস্ট। পুরোটাই মানসিক প্রস্তুতির ব্যাপার। টেকনিকের ভূমিকা খানিকটা তো থাকবেই। তবে মানসিকভাবে মানিয়ে নিতে পারলেই পুরো বিষয়টা সহজ হয়ে যাবে।”
দেশের প্রথম গোলাপি বলের টেস্ট বল নিয়ে যখন উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছে তখন হরভজন সিংয়ের গলায় শোনা গেল অন্য কথা। গোলাপি বলে টেস্ট চালু হলেই যে পাঁচদিনের ক্রিকেট দেখতে দর্শকদের আগ্রহ বাড়বে, এমনটা মনে করছেন না তিনি। বরং ভাজ্জি চান, আরও কাছ থেকে পছন্দের ক্রিকেটারদের দেখার ব্যবস্থা করা হোক। অর্থাৎ আরও ছোট সেন্টারে হোক টেস্ট ম্যাচ। হরভজন বলছেন, “অন্যান্য দেশ তো গোলাপি বলে খেলে ফেলেছে। নিঃসন্দেহে একটা ভাল অভিজ্ঞতা হতে চলেছে। কিন্তু আমার মনে হয় না এতে মানুষের টেস্ট দেখার আগ্রহ বাড়বে। তার চেয়ে কোনও ছোট ভেন্যুতে ম্যাচ হলে প্রিয় তারকাদের কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.