সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রিকেট প্রযুক্তি আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ? বৃহস্পতিবারের কেপ টাউন আরও একবার উসকে দিল সেই প্রশ্নটা। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এলগারকে আউট দিয়েও যেভাবে রিভিউতে লাইফলাইন দেওয়া হল, তাতে মেজাজ হারান ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। স্টাম্প মাইকে ক্যাপ্টেন ও তাঁর সতীর্থদের বিরক্তি প্রকাশ করে কিছু মন্তব্য করতেও শোনা যায়। যে ঘটনাকে ঘিরে নেটদুনিয়াতেও উত্তেজনার পারদ চড়ে। তবে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসে দলের বোলিং কোচ বুঝিয়ে দিলেন, এই বিষয়ে তিনি ও টিম ম্যানেজমেন্ট কোহলির পাশেই আছেন।
ঘটনাটি ঠিক কী? কেপ টাউন টেস্টের তৃতীয় দিন প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংসে তখন ব্যাট করছেন ক্যাপ্টেন এলগার। অশ্বিনের ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হন। ভারতীয়দের আবেদনে সাড়া দিয়ে তাঁকে আউট দেন ফিল্ড আম্পায়ার। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি এলগারের। রিভিউ নেন তিনি। সেখানেই হক আইতে ধরা পড়ে একটুর জন্য বল উইকেটে লাগছে না। তাই ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত খারিজ করে এগলারকে নট-আউট ঘোষণা করেন টিভি আম্পায়ার। জায়ান্ট স্ক্রিনে এমন সিদ্ধান্ত ভেসে উঠতে দেখেই রাগ চেপে রাখতে পারেননি বিরাট (Virat Kohli)। অশ্বিন, কেএল রাহুল, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, প্রত্যেকেই মেজাজ হারিয়ে কুমন্তব্য করতে শুরু করেন। সে শব্দ ধরা পড়ে স্টাম্প মাইকে। ব্রডকাস্টার ‘সুপারস্পোর্ট’-এর বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলা হয়। বল-ট্র্যাকিং সিস্টেমকে বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে।
Was it the right decision? 🤔
Shaun Pollock and Sunil Gavaskar discuss the use of hawkeye after Umpire adjudged Dean Elgar out lbw but reversed his decision as the tracking technology showed the ball going over the wicket… pic.twitter.com/k9w9ajisE1
— Sky Sports Cricket (@SkyCricket) January 13, 2022
গোটা ঘটনা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়াও। DRS নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায় নেটিজেনরা। একাংশ এই সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে দাবি করলেও অনেকেই বলছেন বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় না। শ্রীবৎস গোস্বামীর মতো বাংলার ক্রিকেটার আবার বলছেন, এই ঘটনার জন্য এধরনের মন্তব্যের প্রয়োজন ছিল না। সিদ্ধান্তটা মেনেই এগিয়ে যেতে হবে।
Unnecessary comment , accept and play on please 🙏 #INDvsSA
— Shreevats goswami (@shreevats1) January 13, 2022
টিম ইন্ডিয়ার (Team India) বোলিং কোচ পরশ মামব্রে সাংবাদিক বৈঠকে এ প্রসঙ্গে বলেন, “প্রত্যেকেই মাঠে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে। এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে অনেকেই অনেক কিছু বলে ফেলে। খেলায় এমনটা হয়েই থাকে। তবে সব পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে হয়।” তবে বল-ট্র্যাকিং সিস্টেমকে সত্যিই বিকৃত করা হয়েছে কি না, তা ম্যাচ রেফারির উপরই ছাড়ছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.