সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরিয়ারের ঘোড়া ছুটছে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শুরুতেই হাঁকিয়ে দিলেন দ্বিতীয় ডবল সেঞ্চুরি। পূজারা , রাহানে সবাই রান করলেন। কিন্তু মায়াঙ্কের বিশাল রানের সামনে সবকিছুই ফিকে হয়ে গিয়েছে। তাঁর ব্যাটে ভর করেই ভারতের লিড ইতিমধ্যেই ৩০০ প্লাস।
এদিন ভারতের শুরুটা ভাল হয়নি। নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান পূজারা। ক্যাপ্টেন কোহলি রানের খাতা না খুলেই ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন মায়াঙ্ক ও অজিঙ্ক। রাহানে সেঞ্চুরি ফেলে আসেন। মায়াঙ্ক এগিয়ে যান। ইনিংস থামে ২৪৫ রানে। ধৈর্য না হারিয়ে মেহেদির বলে শটটা না খেললে কেরিয়ারের প্রথম ৩০০-ও হয়তো খুব দ্রুতই চলে আসত। এদিন মায়াঙ্কের ইনিংসে খুঁত বলতে প্রথম দিনে স্লিপে দেওয়া ক্যাচ। তারপর থেকে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ে আজ দিনভর কার্যত ছেলেখেলা করেন ভারতের তরুণ ওপেনার। মারকাটারি মায়াঙ্কের ইনিংস সাজানো ছিল ২৮টি বাউন্ডারি ও আটটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। তাঁর চওড়া ব্যাটের সৌজন্যে ভারতের রান দ্বিতীয় দিনেই পাঁচশোর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই ম্যাচের শুরু থেকে ভারতের পাল্লাই ভারী ছিল। মায়াঙ্কের ইনিংসে বলা যেতে পারে দ্বিতীয় দিনেই ভারতের আয়ত্বে সিরিজের প্রথম টেস্ট। প্রথম দিন খেলা শুরু হওয়ার ঘণ্টা পাঁচেকের মধ্যে ১৫০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। সৌজন্যে তিন ভারতীয় পেসার উমেশ যাদব, মহম্মদ শামি এবং ইশান্ত শর্মা। দুটি করে উইকেট তুলে নেন উমেশ ও ইশান্ত। তিনটি উইকেট ঝুলিতে ভরেন বাংলার পেসার শামি।
তবে শুধুই পেসাররা নন, জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে নজির গড়েন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। হরভজন সিং এবং অনিল কুম্বলের পর তৃতীয় ভারতীয় স্পিনার হিসেবে ঘরের মাটিতে ২৫০-র বেশি উইকেটের মালিক হয়ে যান তিনি। ওইদিন অধিনায়ক মমিনুল হককে ৩৭ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরাতেই বোলারদের এলিট তালিকায় ঢুকে পড়েন অশ্বিন। সাড়ে তিনশো উইকেট নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে কুম্বলে। ঘরের মাঠে ২৬৫টি উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ভাজ্জি। তিন নম্বর জায়গাটি পাকা করেছেন অশ্বিন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.