সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোহিত গুরুনাথ শর্মা খুব কাছ থেকে কায়রন পোলার্ডকে দেখেছেন। দেখেছেন তাঁর ক্ষুরধার ক্রিকেটীয় বোধ, দেখেছেন ক্রিকেট খেলাটা সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান। আসলে আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সতীর্থ যে দু’জনে। আর ভারত সফরে এসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি টিমের যা প্রতাপ, যে ভাবে পিছিয়ে থেকেও তারা সিরিজ ১-১ করে ফেলেছে, দেখেশুনে রোহিত গুরুনাথ শর্মার মনে হচ্ছে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট একদম ঠিক হাতে পড়েছে। কায়রন পোলার্ডের হাতে!
বুধবার সিরিজ নির্ধারক টি-টোয়েন্টির আগে একটা রসিকতা ক্রিকেট সার্কিটে খুব ঘুরছে যে, ওয়াংখেড়ে কার ঘরের মাঠ হতে চলেছে? রোহিত শর্মা মুম্বইয়ের ছেলে, ওয়াংখেড়ে তাঁর ঘরের মাঠ। তাঁর আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সেরও ঘরের মাঠ। ভারতীয় টিমের আর এক সদস্য শ্রেয়স আইয়ার- তিনিও তো মুম্বইয়েরই ছেলে। আবার উলটো দিকে দেখুন। পোলার্ড, এলভিন লুইস- এঁরা গত বছরও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে দাপিয়ে খেলেছেন। দেখতে গেলে ওয়াংখেড়েকে যতটা চেনেন রোহিত শর্মা, ততটাই চেনেন পোলার্ড-লুইসও। সেই ওয়াংখেড়েতে আজ জেতা যাবে?
‘‘দেখুন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ খুব আনপ্রেডিক্টেবল টিম। ওরা কখন কী করে বসবে, কেউ জানে না। প্রথম ম্যাচটাও আমরা কিন্তু জিতেছিলাম বিরাট দুর্ধর্ষ খেলেছিল বলে। আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের থেকে এটাই আশা করি। ওরা টিম হিসেবে খেলে,’’ প্রাক ‘ফাইনাল’ যুদ্ধের আগে মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে বলে দিয়েছেন রোহিত। ‘‘কিন্তু আমাদেরও নিজেদের মতো করে প্ল্যান করতে হবে। মাঠে নিজেদের প্রয়োগ করতে হবে। গত ম্যাচে আমরা বেশ কয়েকটা ভুলভ্রান্তি করেছিলাম। ব্যাটিংয়ে, বোলিংয়ে ফিল্ডিংয়ে। জানি, টিম হিসেবে আমাদের কোথায় কোথায় খামতি আছে। আমরা দেখব, একই ভুল যেন বারবার না হয়।’’
এরপরই বহুদিনের বন্ধুর প্রশংসা ডুবে যান রোহিত। পোলার্ড নিয়ে বলার সময় তাঁকে যথেষ্ট আবেগপ্রবণও দেখায়। যিনি এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। ‘‘খুব ভাল চিনি আমি পোলার্ডকে। খুব স্মার্ট একজন ক্রিকেটার। খেলাটা সম্পর্কে ধারণাটা পরিষ্কার। আমি জানি, অধিনায়ক হিসেবে ও টিমের কাছে কী চাইতে পারে। আমি তো বলব, পোলার্ডের নেতৃত্বে আমরা অন্য এক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দেখছি। যাদের হারাতে হলে নিজেদের সেরা খেলাটা বার করে আনা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।’’ বলে রোহিতের দ্রুত সংযোজন, ‘‘পোলার্ড কিন্তু মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের লিডারশিপ গ্রুপে সব সময় থাকে। গত বছর একটা ম্যাচে আমি খেলতে পারিনি মুম্বইয়ের হয়ে। পোলার্ড সেই ম্যাচটায় ক্যাপ্টেন্সি করেছিল। আমি জানি ও কী ভাবতে পারে না পারে।’’
একই সঙ্গে ভারতীয় সহ-অধিনায়কের মনে হচ্ছে, পোলার্ডের ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সামলানো কঠিন যেমন। নিজেদের সেরাটা না দিতে পারলে যেমন কপালে দুঃখ থাকে। তেমনই পোলার্ডের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলার একটা সুবিধেও আছে। নিজেদের বোলিং শক্তিকে যাচাই করে নেওয়ার সুযোগ। ভয়ংকর ব্যাটিংয়ের মোকাবিলা কী ভাবে করা সম্ভব, জেনে নেওয়ার সুযোগ। ‘‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিমে পাওয়ার হিটার প্রচুর। তাই ওদের বিরুদ্ধে খেলাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে বোলিংয়ের শক্তিপরীক্ষাটা ঠিকমতো হয়ে যায়। কারণ একটা বল পর পরই ওরা ছয় মারার চেষ্টা করে,’’ বলে দিয়েছেন রোহিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.