আলাপন সাহা: কলম্বোর আবহাওয়া এখন একটু আত্মভোলা। খামখেয়ালি। মাঝেমধ্যেই এখানে মেঘ-রোদ্দুর লুকোচুরি খেলে। বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় প্র্যাকটিসের সময়ও সেরকমই ছিল। তবে এখানকার আবহ যা-ই হোক, ভারতীয় সংসারে শুধুই রোদ্দুর। যেটুকু মেঘ ছিল, সেটাও কেটে যাওয়ার পথে। শ্রেয়স আইয়ার চোট পেয়ে টিম ম্যানেজমেন্টকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলেন। গত দু’দিন দলের সঙ্গে মাঠেও আসেননি। তবে এদিন এলেন। নেটে পুরোদমে ব্যাটিং করেননি। তবে বেশ কিছুক্ষণ থ্রো ডাউন নিলেন।
খবর নিয়ে জানা গেল, শ্রেয়স ফিট হচ্ছেন। তবে শুক্রবার বাংলাদেশের (India vs Bangladesh) বিরুদ্ধে খেলার সম্ভাবনা খুব একটা আছে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশ ম্যাচটা ভারতের কাছে এখন গুরুত্বহীন। ফাইনাল আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার তাই বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার রাস্তায় হাঁটতে পারেন রোহিত শর্মারা (Rohit Sharma)। বেশ কয়েকজনকে বিশ্রাম দেওয়া হবে সেটা কার্যত নিশ্চিত। এখন সেই তালিকায় বিরাট কোহলি, রোহিতদের মধ্যে কেউ থাকেন কি না, সেটা দেখার। প্রেস কনফারেন্সে এসে বোলিং কোচ পারস মামরেও সেই ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন।
ম্যাচের আগের দিন সাধারণত ঐচ্ছিক প্র্যাকটিস রাখা হয়। এদিনও তাই ছিল। বিরাটদের আসলে টানা তিনদিন খেলতে হয়েছে। বিশ্বকাপের আগে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে। তাই কোহলি, রোহিত, জশপ্রীত বুমরাহদের কেউই আর মাঠমুখো হননি। সবাই বিশ্রামেই কাটালেন। সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, শার্দূল ঠাকুর, শ্রেয়স আর তিলক বর্মা এসেছিলেন শুধু। বেশিরভাগ সবাই থ্রো ডাউন নিলেন। সূর্য হয়তো আজ খেলবেন। তিলকের খেলার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পারস বললেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত যারা খেলেনি, তাদের খেলানোর একটা চিন্তা-ভাবনা অবশ্যই রয়েছে আমাদের । রাহুল (দ্রাবিড়) আর রোহিত মিলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’’
সাম্প্রতিক সময়ে ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ ঘিরেও ভালরকম উত্তাপ ছড়িয়েছে। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও পরিবেশটা গমগমে ছিল। সোশাল মিডিয়ায় দু’দেশের সমর্থকদের বাকযুদ্ধ শুরু হয়ে যেত। কিন্তু অদ্ভুতভাবে এশিয়া কাপে (Asia Cup) সেটা একেবারেই নেই। আসলে বাংলাদেশ টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছে। ভারতের কাছেও নিয়মরক্ষার একটা লড়াই। আবহ তাই বেশ নিরুত্তাপ। মুশফিকুর রহিম এই ম্যাচে খেলছেন না। ভারতীয়রা এদিন অপনশাল ট্রেনিং করলেও বাংলাদেশ সে’সব কিছুই করেনি। বুধবারও বৃষ্টির জন্য পুরোদস্তুর অনুশীলন হয়নি। ঠিক হয়েছে, শুক্রবার ম্যাচ শুরুর অনেক আগেই সাকিব-আল-হাসানরা মাঠে চলে যাবেন।
এমনিতে ম্যাচের আগে সব টিমই হালকা ট্রেনিং করে। তবে বাংলাদেশ দল অবশ্য একটু অভিনব কিছু করতে চলেছে। ম্যাচের আগে তথাকথিত নেটে সেশন কোনও টিম করে না। শাকিবরা সেটাই করবেন। অন্য ম্যাচ থাকলে যে সময়ে হোটেল থেকে বেরোয় টিম, শুক্রবার তার অন্তত ঘণ্টা দু’য়েক আগে বেরোবেন শাকিবরা। যাতে মাঠে গিয়ে একটু প্র্যাকটিস করে নেওয়া যায়। তবে বাংলাদেশ যা-ই করুক না কেন, রোহিতদের লক্ষ্য এখন একটাই–সুপার ফোরে জয়ের হ্যাটট্রিক করেই ফাইনাল-যুদ্ধে নামা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.