দক্ষিণ আফ্রিকা: ২২৭-৯ (মরিস ৪২, ডুপ্লেসি ৩৮)
ভারত: ২৩০-৪ (রোহিত ১২২, ধোনি ৩৪)
ভারত ৬ উইকেটে জয়ী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিস্থিতি কঠিন ছিল। পিচে সুইং এবং বাউন্স, দুইই ছিল। বিপক্ষে ছিল বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসার, এবং বিশ্বমানের স্পিনারের যুগলবন্দি। সেই সঙ্গে ছিল অন্যপ্রান্তে উইকেট হারানোর চাপ। কিন্তু, এসব কিছু ছাপিয়ে ভারতীয় দলের হিটম্যান বুঝিয়ে দিলেন, শুধু পাওয়ার হিটিং নয়, প্রয়োজনে ক্যাপ্টেন কুলের মতো শীতল মস্তিষ্কেও খেলতে পারেন তিনি। রোহিতের এই হিমশীতল মানসিকতাই শেষ পর্যন্ত জিতিয়ে দিল ভারতকে। মেন ইন ব্লু জিতল ৬ উইকেটে। দুর্দান্ত শতরান করে শিরোনাম কুড়িয়ে নিলেন টিম ইন্ডিয়ার সহ-অধিনায়ক। তবে, বোলারদের কৃতিত্বও কম নয়।
সাউদাম্পটনের আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। বৃষ্টিরও পূর্বাভাসও ছিল আবহাওয়া দপ্তরের। এহেন পরিস্থিতিতে এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। কিন্তু, তাঁর সেই সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণিত করেন ভারতীয় বোলাররা। প্রথম বুমরাহর সুইং এবং পরে চাহালের স্পিনের সামনে অসহায় দেখাল প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের। দক্ষিণ আফ্রিকার টপ-অর্ডার এদিন পুরোপুরি ব্যর্থ। অধিনায়ক ডুপ্লেসি (৩৮) এবং মিলার (৩১) কিছুটা প্রতিরোধ করলেও চাহালের ঘুর্ণিতে কুপোকাত হন তারাও। শেষবেলায় ক্রিস মরিস এবং রাবাদা জুটি বেঁধে সম্মানরক্ষা না করলে এদিন হয়তো ২০০-রানের গণ্ডিও পেরতে পারত না প্রোটিয়ারা। মরিসের ৩৪ বলে ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংসই এদিন ২২৭ রান পর্যন্ত পৌঁছে দিল ফাফ এন্ড কোম্পানিকে। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ৪টি উইকেট পান চাহাল। ২টি করে উইকেট নেন ভুবি ও বুমরাহ, কুলদীপের দখলে যায় একটি উইকেট।
২২৮ রানের লক্ষ্য খাতায় কলমে খুব একটা বড় না হলেও, সাউদাম্পটনের পিচে শুরুর দিকে বোলাররা যেভাবে সুবিধা পাচ্ছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল লড়াইটা কঠিন হতে চলেছে ভারতের। কিন্তু, ‘কুল’ মানসিকতার রোহিতই সেই কঠিন কাজটা সহজ করে দিলেন। তাঁর দুর্দান্ত শতরানে ভর করে ১৫ বল বাকি থাকতেই নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে গেল ভারত। সেই সঙ্গে কেরিয়ারের ২৩ তম সেঞ্চুরিটিও করে ফেললেন টিম ইন্ডিয়ার হিটম্যান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.