সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গৌতম গম্ভীরের মতো প্রাক্তনরা ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। গোটা দেশ জুড়ে তাঁর বন্দনা চলছে। চিপকে রবিবার লোকেশ রাহুল (KL Rahul) শুধু কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংসটাই খেললেন না, ভারতের জয়ের অন্যতম নায়ক হয়ে রইলেন। একটুর জন্য সেঞ্চুরি হয়নি। তবে সে’সব নিয়ে কোনও আফসোস নেই। তবে কোথাও গিয়ে অভিমানের বিন্দু বিন্দু মেঘ জমেছে কে এলের মনে।
অভিমানী হওয়াটাও খুব স্বাভাবিক। যেভাবে তাঁর সর্বত্র সমালোচনা চলে, সেটাই তাঁকে রক্তাক্ত করে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার পর ভারতীয় তারকার কথা শুনে সেটা আরও ভালোভাবে বোঝা যাচ্ছিল। ব্রডকাস্টার চ্যানেলে রাহুল বলছিলেন, “আমার প্রচণ্ড সমালোচনা হয়। প্রত্যেক ম্যাচে, প্রত্যেকটা পরিস্থিতিতে আমার পারফরম্যান্স নিয়ে লোকেরা কথা বলেন। সমালোচনা চলে। আমি কিছুতেই বুঝতে পারি না, এটা কেন হয়। আমার পারফরম্যান্স তো এতটা খারাপ ছিল না। এটাই প্রচণ্ড কষ্টের। যা আমাকে ভীষণ যন্ত্রণা দেয়। আমি জানি চোট পেয়ে মাঠের বাইরে থাকার যন্ত্রণাটা কী। সেটা সারিয়ে ফিরলাম। তারপর আবার আইপিএলের সময় আবার চোট লেগে গেল। জানতে পারলাম চার-পাঁচ মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে। বুঝতে পারছিলাম না কী করব। ওই সমটা ভীষণ কঠিন ছিল আমার কাছে।”
তবে বিশ্বকাপে (ICC World Cup 2023) ফেরার আশা ছাড়েননি রাহুল। হাজারো কঠিন সময়েও চেষ্টা করতেন নিজেকে ইতিবাচক রাখার। বিশ্বকাপ খেলার ব্যাপারটা আরও মোটিভেট করত তাঁকে। বাড়তি তাগিদ অনুভব করতেন। বলছিলেন, “আমরা মথায় সেটা ছিল। জানতাম ঠিক কোন প্রসেসে এগোতে হবে। যেভাবেই হোক বিশ্বকাপের আগে আমাকে পুরো ফিট হতেই হবে। সেটাই আমরা একমাত্র মোটিভেশন ছিল। কারণ দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ। আর আমাকে সেখানে খেলতেই হবে। নিজেদের দেশে বিশ্বকাপ খেলা যে কোনও ক্রিকেটারের কাছেই স্বপ্নের মতো। প্রত্যেকটা দিন সকালে উঠে একটাই কথা মনে হত, আমাদের বিশ্বকাপটা জিততেই হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.