সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা দল গতবারের রানার্স-আপ। আর অন্য দলটি ২৭ বছর পর পৌঁছেছে বিশ্বকাপের ফাইনালের মঞ্চে। কিন্তু বিশ্বজয়ের স্বাদ থেকে দুই দল বঞ্চিতই থেকেছে। তাই এবার নয়া ইতিহাস রচিত হবে বিশ্ব ক্রিকেটে। কিন্তু প্রশ্ন হল সোনালি অক্ষরে কার নাম লেখা থাকবে ইতিহাসে? মাঠে বল গড়ানোর আগে কিন্তু পাল্লা ভারী হোম ফেভরিটদেরই।
গত দুটো বিশ্বকাপের দিকে তাকালে দেখা যাবে, হোম ফেভরিটরাই ট্রফি ঘরে তুলেছে। ২০১১-য় ধোনির টিম ইন্ডিয়া আর ২০১৫-য় অস্ট্রেলিয়া। এবারও প্রথম থেকেই ট্রফি জয়ের অন্যতম দাবিদার ছিল ইংল্যান্ড। আর প্রত্যাশা মতোই বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছেন মর্গ্যানরা। ক্রিকেটের মক্কার মাথাতেই এখনও নেই বিশ্বজয়ের মুকুট। তাই ২৭ বছর পর টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছে একই ভুলের আর পুনরাবৃত্তি চায় না ইংল্যান্ড।
১৯৯২ বিশ্বকাপে ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে রানার্স-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল ইংলিশবাহিনীকে। এবার থ্রি লায়ন্সের হোম কামিংয়ের পালা। গত বছর রাশিয়ায় ফুটবল বিশ্বকাপে স্বপ্ন দেখিয়েও হতাশ করেছিল হ্যারি কেন অ্যান্ড কোং। সেমিফাইনালেই সফর শেষ হয়েছিল ইংল্যান্ডের। কিন্তু এবার বাইশ গজে আর কোনও ভুল নয়। ঐতিহাসিক লর্ডসে এবার ১৯৬৬ ফুটবল বিশ্বকাপের স্মৃতিই ফেরাতে চান মর্গ্যানরা। যেবার ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড।
ফাইনালে নামার আগে ইংল্যান্ডের স্বস্তি যে শাস্তির কবলে পড়লেও নির্বাসিত করা হয়নি জেসন রয়কে। বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে মাঠে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক করায় ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ কাটা গিয়েছে রয়ের। আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনার আউটের সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি তিনি। সেই কারণেই বারবার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। কিন্তু এভাবে আইসিসির কোড অফ কনডাক্টের নিয়মভঙ্গ করেছেন রয়। সেই কারণেই শাস্তি পেতে হল তাঁকে।
তবে ইংল্যান্ড যতই ফেভরিট হোক, লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত উইলিয়ামসনরাও। সেমিফাইনালেও তাঁরা আন্ডারডগ হিসেবেই নেমেছিলেন। কিন্তু সব সমীকরণ ভুল প্রমাণ করে ফেভরিট ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় কিউয়িবাহিনী। এই জয়ই নিঃসন্দেহে ফাইনালে আত্মবিশ্বাস জোগাবে নিউজিল্যান্ডকে। এবার দেখার হাইভোল্টেজ লড়াইয়ে কে শেষ হাসি হাসে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.