ভারত- ৩৫২/৫ (ধাওয়ান ১১৭, কোহলি ৮২, স্টয়নিস ২/৬২)
অস্ট্রেলিয়া- ৩১৬ অলআউট (স্টিভ স্মিথ ৬৯, ভুবনেশ্বর ৩/৫০)
ভারত ৩৬ রানে জয়ী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা স্পেল। আর তাতেই ঘুরে গেল ম্যাচ। ভুবনেশ্বর কুমারের একটা ওভারে দুটি উইকেটই নির্ধারক হয়ে গেল ওভালে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের। নাহলে রবিবার হতাশাই অপেক্ষা করছিল বিরাট বাহিনীর। অজিদের বিরুদ্ধে ৩৫২ রানের বিশাল স্কোর করলেও, বোলারদের নির্বিষ বোলিংয়ের দৌলতে ম্যাচ খোয়াতে বসেছিল ভারত। ম্যাচ প্রায় পকেটেই পুরে নিয়েছিলেন স্টিভ স্মিথরা। কিন্তু ৪০তম ওভারে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংই ফের ম্যাচে ফেরত আনে ভারতকে। ওভালে শিখর ধাওয়ানের চোখধাঁধানো শতরান মাঠেই মারা যেত এদিন। যদি না স্লগ ওভারে জ্বলে উঠতেন ভুবি-বুমরাহরা। শেষদিকে অজি ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারি চেষ্টা করেছিলেন বটে কিন্তু ক্যাঙারুদের জন্য আজ ভাগ্যদেবী সহায় ছিলেন না বলাই যায়। মিডল ও লোয়ার অর্ডারে ধস নামতেই পাল্লা ভারী হতে থাকে ভারতের। যার সুবাদে বিশ্বকাপের অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৩৬ রানে হারাল ভারত। এর কৃতিত্ব অবশ্যই ভারতের দুই পেসার ভুবনেশ্বর কুমার ও জসপ্রিত বুমরাহর বেশি থাকবে। কারণ, ম্যাচ যখন হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল, তখন দলকে ম্যাচে ফেরান এরাই।
আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বড় জয় এলেও গ্লাভস বিতর্কে শিরোনামে আসেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। বিসিসিআই-আইসিসি চাপানউতোরের মধ্যে ক্যাঙারুদের সঙ্গে ভারতের এই ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনার পারদ ছিল তুঙ্গে। অজিদের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে ভারতের রেকর্ড যে খুব ভাল তা নয়। বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে তাই একটু টেনশন ছিলই বিরাটদের নিয়ে। এদিন প্রথমে ব্যাট করে ৩৫২ রানের বিশাল স্কোর করে ভারত। দুরন্ত সেঞ্চুরি করেন শিখর ধাওয়ান (১১৭)। আগের ম্যাচে রোহিতের পর এদিন ভারতের আরেক ওপেনারের সেঞ্চুরি। যথারীতি আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। বিশ্বকাপের ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যে কোনও দলের এটাই সর্বোচ্চ স্কোর। অধিনায়ক বিরাট এদিন করেন ৮২ রান। যদিও ভারত যে গতিতে রান করছিল, তাতে আরও ৩০-৪০ রান বেশি হওয়ার কথা ছিল। স্লগ ওভারে পরপর উইকেট পড়ায় রানের গতি স্লথ হয় ভারতের। তবুও ৩৫২ রান ৫০ ওভারে বিরাট স্কোরই বলা যায়। তবে বিতর্ক এদিনও পিছু ছাড়েনি অজিদের। অ্যাডাম জাম্পাকে এদিন দেখা যায় পকেটের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে বল নিয়ে কিছু একটা করতে। যার ফলে জল্পনা ওঠে ফের বল বিকৃত করার।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভালই শুরু করেন দুই ওপেনার ওয়ার্নার ও ফিঞ্চ। ওয়ার্নার ৫৬ রান করে ফিরলেও রানের গতি কমাননি স্টিভ স্মিথ। খোয়াজার সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ভুবনেশ্বর কুমারের একটা ওভার ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। স্টিভ স্মিথকে ৬৯ রানে আউট করেন ভুবি। তারপর ধস নামে মিডল ও লোয়ার মিডল ওর্ডারে। উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারি (৫৫) একটা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অপরদিকে একের পর এক উইকেটের পতন রুখতে পারেননি তিনি। ৩১৬ রানে শেষ হয় অজিদের ইনিংস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.