বাংলাদেশ: ২৬২/৭ (শাকিব-৫১, মুশফিকুর-৮৩)
আফগানিস্তান: ২০০ (গুলবাদিন-৪৭, শিনওয়ারি- ৪৯*)
৬২ রানে জয়ী বাংলাদেশ
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের যদি একজন বিরাট কোহলি থাকেন, অস্ট্রেলিয়ার যদি ওয়ার্নার থাকেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের যদি ব্রেথওয়েট থাকেন, তাহলে বাংলাদেশের একজন শাকিব আল হাসান রয়েছেন। বুক বাজিয়ে আজ যে কোনও বাংলাদেশির একথা বলতে দ্বিধা নেই। কারণ দেশকে গর্বিত করার সবরকম রশদ দিয়েছেন এই তারকা। যিনি আক্ষরিক অর্থেই বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে রেকর্ড গড়ার দিনই হাত ঘুরিয়ে সোনার ইতিহাস রচনা করলেন শাকিব। আর তাঁর অনবদ্য পারফরম্যান্সেই জিইয়ে রইল বাংলাদেশের সেমিফাইনালে পৌঁছনোর স্বপ্ন।
সোমবারটা শুধুই যেন শাকিব বন্দনার দিন। সাউদাম্পটনের রোজ বলের গ্যালারিতে ওঠা সবুজ ঢেউ যেন শাকিবের নামই জপ করে গেল। আফগানদের বিরুদ্ধে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হাফ সেঞ্চুরি করেন বাংলাদেশি তারকা। ৫১ রান ঝুলিতে ভরার সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বকাপে এক হাজার রানের মালিক হয়ে যান তিনি। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন শাকিব। বিশ্ব ক্রিকেটে ১৯ তম ব্যাটসম্যান হিসেবে এই অনন্য নজির গড়লেন তিনি। আর বল হাতে একাই আফগান ব্যাটিং লাইন আপে ধস নামালেন। দশ ওভারে ২৯ রান দিয়ে তুলে নিলেন পাঁচ-পাঁচটা মূল্যবান উইকেট। ওয়ানডে কেরিয়ারে এটাই তাঁর সেরা বোলিং ইনিংস। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডের মালিকও তিনিই।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যর্থ লিটন দাস (১৬)। তামিম ইকবাল (৩৬) ও শাকিবই ঘুরে দাঁড়িয়ে দলকে এগিয়ে দেন। তারপর আফগান বোলারদের নাস্তানাবুদ করে ৮৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম। শেষদিকে স্কোরবোর্ডে আরও ৩৫ রান যোগ করে দলকে লড়াইয়ের জায়গায় পৌঁছে দেন মোসাদ্দেক হোসেন। জবাবে অধিনায়ক গুলবাদিন শুরুটা ভাল করলেও শাকিব ঝড়ে তছনছ হয়ে যায় আফগান ব্যাটিং অর্ডার। গত ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে কড়া টক্কর দেওয়া দল এদিন বাংলাদেশের কাছে একপেশেভাবেই পরাস্ত হল।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই বেশ চর্চায় ছিল আফগানিস্তান। ঠিক যেমন গতবছর রাশিয়ায় ফুটবল বিশ্বকাপে মিশরকে নিয়ে নানা আলোচনা হয়েছিল। প্রথমবারের সুযোগে বিশ্বকাপের মঞ্চে আফগানবাহিনী জ্বলে উঠতে পারে কি না, সে কৌতূহল জাঁকিয়ে বসেছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। হাজার হোক, যে দেশের বাসিন্দাদের ঘুম ভাঙে গুলির শব্দে, সর্বদা নাকে আসে বারুদের গন্ধ, সেই দেশের একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটের হাত ধরে বদল আনার চেষ্টা তো করেছেন। টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত জয়ের মুখ না দেখলেও সেই চেষ্টায় কোনও খামতি রাখেননি রশিদরা। সেমিফাইনালে যাওয়ার আর কোনও আশা নেই তাঁদের। কিন্তু বিশ্বমঞ্চ থেকে নিঃসন্দেহে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করছেন। এদিন তাঁদের হারানোর কিছুই ছিল না। তাই বলে কি বিনাযুদ্ধে প্রতিপক্ষকে মাটি ছেড়ে দেবেন? একেবারেই না। শেষ বল অবধি লড়াই চলল। কিন্তু শেষ হাসি হাসলেন বাংলার বাঘরাই।
How many wickets did you take today, @Sah75official?#CWC19 | #BANvAFG | #RiseOfTheTigers pic.twitter.com/4bvXQQrLSz
— Cricket World Cup (@cricketworldcup) June 24, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.