ভারত অনূর্ধ্ব-১৯: ১৭৭-১০ (জয়সওয়াল ৮৮, তিলক বর্মা ৩৮)
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯: ১৭০-৭ (পারভেজ হোসেন ৪৭, আকবর আলি ৪৩)
ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়ম অনুসারে ৩ উইকেটে জয়ী বাংলাদেশ
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। বলা ভাল, বাংলাদেশ ক্রিকেটে ইতিহাস গড়ল এই অনূর্ধ্ব-১৯ দল। শাকিব-আল-হাসান, মুশফিকুর রহিম, মেহেদি হাসান মিরাজরা যা পারেননি, তা করে দেখালেন শরিফুল-অভিষেক-পারভেজরা। প্রথমবার বিশ্বজয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশের কোটি কোটি ক্রিকেট সমর্থক। ২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায়, ওপার বাংলার ক্রিকেট অনেকটাই এগিয়েছে। সেই সত্যটিই এবার সর্বসমক্ষে প্রতিষ্ঠিত হল। গত কয়েকবছরে বাংলার ‘টাইগার’রা যে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন, তা এদিন প্রমাণ করে দিল ১১ জন তরুণ বঙ্গসন্তান। ফাইনালে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হল বাংলাদেশ।এবছরই বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ পালন করছে ওপার বাংলা। স্বাভাবিকভাবেই, এবছর এই জয় বাড়তি পাওনা কোটি কোটি বাঙালির জন্য।
BANGLADESH HAVE WON THE ICC U19 WORLD CUP FOR THE FIRST TIME IN THEIR HISTORY!!!!!#U19CWC | #INDvBAN | #FutureStars
— Cricket World Cup (@cricketworldcup) February 9, 2020
বাংলাদেশের এই জয়ে অবশ্য ভারতীয় বোলার এবং ফিল্ডারদের অবদানও কম ছিল না। একের পর এক ক্যাচ মিস। এবং সেই সঙ্গে অতিরিক্ত বেশি অতিরিক্ত রান। পরিসংখ্যান বলছে বাংলাদেশ ইনিংসের তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার এই অতিরিক্ত রান। যা ফাইনাল ম্যাচে একপ্রকার অবিশ্বাস্য। ফাইনাল ম্যাচ দেখার পর বলতেই হচ্ছে অনুশাসনের অভাবেই ভারতকে পঞ্চমবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া থেকে আটকে দিল।
রবিবাসরীয় ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রক্ষ্মণাত্মক ভঙ্গিমায় ইনিংস শুরু করে ভারত। প্রথম ৬ ওভারে ওঠে মাত্র ৮ রান। সপ্তম ওভারেই প্রথম উইকেট পড়ে। দিব্যাংশ সাক্সেনা আউট হন মাত্র ২ রান করে। দিব্যাংশ সাক্সেনা আউট হওয়ার পর ইনিংসের হাল ধরেন যশস্বী (Yashasvi Jaiswal) এবং তিলক বর্মা। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে ৯৪ রান তোলেন তাঁরা। কিন্তু, তাঁদের ইনিংস ছিল অত্যন্ত ধীরগতির। ভারত ১০০ রানের গণ্ডি পেরোয় ২৭তম ওভারে। তিলক আউট হওয়ার পর ফের ব্যর্থ হন অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গ। এদিন তিনি করেন ৭ রান। গোটা টুর্নামেন্ট মিলিয়ে প্রিয়মের সংগ্রহ মাত্র ৬৮ রান। এরপর যশস্বী যখন একদিকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন তখন উলটো দিকে একের পর এক উইকেটের পতন ঘটতে থাকে। যশস্বী ৮৮ রানে আউট হওয়ার পরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ভারতের ইনিংস। মাত্র ১৭৭ রানে অল-আউট হয়ে যায় চারবারের চ্যাম্পিয়নরা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে বাংলাদেশ। পারভেজ হোসেন ইমন এবং তানজিদ হাসান প্রথম উইকেটের জুটিতেই তুলে দেন পঞ্চাশ। তারপরই শুরু হয় বিষ্ণোইয়ের কামাল। তাঁর চার উইকেটে একসময় বিপাকে পড়ে গিয়েছিল বাংলা টাইগাররা। ১০২ রানের মধ্যেই পড়ে গিয়েছিল ৬টি উইকেট। সেখানে ধীরস্থির মস্তিষ্কে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিলেন বাংলাদেশের ‘ক্যাপ্টেন কুল’ আকবর আলি। যদিও, বাংলাদেশের কাজটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায় বৃষ্টির জন্য। কয়েক মিনিটের বৃষ্টিতেই তাঁদের লক্ষ্যমাত্র ১৫ থেকে কমে ৬ হয়ে যায়। যা সহজেই তুলে ফেলে বাংলা টাইগাররা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.