স্টাফ রিপোর্টার: এমনিতেই আইসিসি টুর্নামেন্টে নিরাপত্তার কড়াকড়ি সবসময়ই একটু বেশিই থাকে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে সবসময় দুর্নীতিদমন শাখার লোকজন থাকে। ক্রিকেটারদের বলে দেওয়া হয়, কী করা যাবে আর কী করা যাবে না। ক্রিকেটারদের বাইরের কোনও লোকজনের সঙ্গে কথা বারণ। কেউ কোনও উপহার দিলে, সেটা নেওয়া যাবে না। এবার বিশ্বকাপ শুরুর দিন পনেরো আগে আইসিসি জানিয়ে দিল, প্র্যাকটিস ম্যাচ থেকেই দুর্নীতিদমন শাখার লোকজন থাকবে টিমগুলোর সঙ্গে।
এবার বিশ্বকাপে দশটা টিম খেলবে। প্রত্যেকটা টিমের সঙ্গে দুর্নীতিদমন শাখার লোকজন থাকবে। এটাও শোনা যাচ্ছে, আইসিসি প্রত্যেক ক্রিকেটারকে ফিক্সিং নিয়ে সতর্ক করে দেবে। বলে দেওয়া হবে, কোনওরকম প্রস্তাব এলেই তাঁরা যেন টিমের সঙ্গে থাকা অ্যান্টি কোরাপশনের লোকজনদের জানিয়ে দেন। টিম যে হোটেলে থাকবে, দুর্নীতিদমন শাখার লোকেরাও একই হোটেলে থাকবে। প্র্যাকটিস থেকে ম্যাচ, ক্রিকেটারদের সঙ্গে সবসময় তাঁরা থাকবেন। এক রিপোর্টে বলে দেওয়া হয়েছে, “এবার দুর্নীতিদমন শাখার দায়িত্বে থাকা লোকদের বলে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা প্রস্তুতি ম্যাচ থেকেই টিমের সঙ্গে থাকবে। শুধু তাই নয়, যে টিম যে হোটেল থাকবে, সেই টিমের দায়িত্বে থাকা দুর্নীতি দমন শাখার লোকেরাও একই হোটেলে থাকবেন। প্র্যাকটিস হোক কিংবা ম্যাচ, ক্রিকেটারদের সবসময় দুর্নীতিদমন শাখার লোককে নিয়ে বেরোতে হবে।”
এর আগে একাধিকবার ফিক্সিংয়ের ছায়ায় কলঙ্কিত হয়েছে ক্রিকেট। পাকিস্তানের একাধিক ক্রিকেটার নির্বাসিত হয়েছেন গড়াপেটার অভিযোগে। ভারতীয় ক্রিকেটেও ফিক্সিংয়ের ছায়া নতুন কিছু নয়। আইপিএলে গড়াপেটার অভিযোগে নির্বাসিত হতে হয়েছে শ্রীসন্থের মতো তারকাকেও। এমনিতে বড় টুর্নামেন্টগুলিতে ফিক্সারদের নজর থাকে। এর আড়ালে চলে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা। এর পিছনে হাত থাকে আন্তর্জাতিক বেটিং চক্রগুলিরও। এবার সেসব আটকাতে বদ্ধপরিকর আইসিসি। তাছাড়া, আইপিএলে যেভাবে বেটিং চলেছে, সেসব দেখেও সতর্ক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.