বিপাকে বাবর আজমদের 'ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট' মিকি আর্থার। ফাইল ছবি
রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়, আহমেদাবাদ: স্কোরলাইন ৭-০। তবে এটা কোন ফুটবল ম্যাচের স্কোরলাইন নয়। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের (ICC ODI World Cup 2023 IND vs PAK) মঞ্চে এই ৭-০ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে ভারতের (India) জয়ের পরিসংখ্যান। ১৯৯২ সালের কাপ যুদ্ধ থেকে যা শুরু হয়েছিল। শেষ জয় এসেছিল চার বছর আগে। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে। এবারও সেই জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ৮-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাবে টিম ইন্ডিয়া (Team India)? ঠিক এমন প্রেক্ষাপটে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) দলকে ‘মাদার অফ অল ব্যাটল’-এর আগে হুঙ্কার দিলেন বাবর আজম (Babar Azam)। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যে, এবার আহমেদাবাদের (Ahmedabad) নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে (Narendra Modi Stadium) ‘সবুজ বাহিনী’ নতুন ইতিহাস গড়তে বদ্ধপরিকর।
বাবর জানতেন এমন একটা ইস্যু নিয়ে তাঁর দিকে অবধারিত প্রশ্ন উড়ে আসবে। পাক ওপেনার যেন স্টান্স নিয়েই ছিলেন। স্পষ্ট বলে দিলেন, “২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আমরা ভারতকে কখনও হারাতে পারিনি। সবকিছুই তো জীবনে প্রথমবার হয়।” এরপর কিছুটা থেমে ফের জুড়ে দিলেন, “অতীতে কী ঘটেছে সেটা নিয়ে ভেবে লাভ নেই। আমরা সেটা নিয়ে ভাবতেও চাইছি না। কারণ সেটা আমাদের ফোকাস নয়। আমাদের দল ভালো পারফরম্যান্স করছে। আর রেকর্ড যে ভাঙার জন্য হয় সেটা আমরা সবাই জানি। আশা করি এবার আমরা নতুন ইতিহাস গড়তে পারব।”
বাইশ গজের যুদ্ধে ভারত-পাক মহারণ মানেই বাড়তি চাপ। সেটা সবাই জানে। শুধু মাঠ নয়, মাঠের বাইরেও ছড়িয়ে যায় উত্তেজনার ছাপ। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের ক্রিকেট পিপাসুদের মধ্যেও আবেগের ওভারডোজ দেখা যায়। সেটা পাক অধিনায়ক জানেন। তাই ফের বলেন, “চাপ তো থাকবেই। প্রথমবার ভারতের বিরুদ্ধে খেলার সময় চাপ অনুভব করেছিলাম। তবে অভিজ্ঞতা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে পরিস্থিতি অনেক বদলে গিয়েছে। আর সেই অভিজ্ঞতা বাকিদের মধ্যে ভাগ করে নিতে চাই।”
সাত বছর ভারতে পা রাখার পর থেকে হায়দরাবাদে ছিল পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৮১ রানে হারিয়ে দেওয়ার পর, দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে রেকর্ড ৩৪৫ রান চেজ করে ৬ উইকেটে জয় পেয়েছে পাক দল। মহম্মদ রিজওয়ান ১৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন। আবদুল্লা শফিক করেন ১১৩ রান। তবে এবার অপরিচিত ভেন্যু আহমেদাবাদে লড়তে হবে। যদিও মেগা ম্যাচে নামার আগে চিন্তিত নন তিনি। বাবর বলেছেন, “আহমেদাবাদের পরিবেশ অনেকটাই আলাদা। অনেক বড় মাঠ। প্রতিটা স্টেডিয়ামের পিচের চরিত্র আলাদা। আমি সেভাবেই দল সাজাব।”
চলতি কাপ যুদ্ধে একাধিক ম্যাচে শিশির প্রভাব ফেলেছে। আহমেদাবাদেও কি শিশির দাপট দেখাবে? বাবর কিন্তু এবার সাবধানী। বললেন, “টস এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। কারণ ফ্লাড লাইটে পিচ অন্য রকম আচরণ করে। দুদিন সন্ধার দিকে দেখলাম শিশির পড়ছে।”
মোতেরা এখন নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। এমন আইকনিক ভেন্যুতে রাজত্ব করবে টিম ইন্ডিয়া? নাকি নতুন ইতিহাস গড়বে পাক দল। মহারণের অপেক্ষায় রয়েছে ক্রিকেট দুনিয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.