সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকাপের বোধন বৃহস্পতিবার। মাঝে আর একটা দিন। তার পরই মহাযুদ্ধে (ICC Cricket World Cup) নেমে পড়বে ১০টি দেশ। কোন দলের কী শক্তি, দুর্বলতাই বা কী? বিশ্বযুদ্ধের আগে আতসকাচের নিচে ফেলে দেখে নেওয়া যাক সব দলের টিম প্রোফাইল। আজ আলোচনা নিউজিল্যান্ড (New Zealand Cricket Team) নিয়ে। ভারতের মাটিতে নিউজিল্যান্ড কত দূরে যাবে? পারবে কি আগের বারের প্রায়শ্চিত্ত করতে? সেই ক্ষমতা কি আছে কিউয়িদের?
প্রথমেই নজর রাখা যাক নিউজিল্যান্ডের গোটা দলের দিকে: কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ট্রেন্ট বোল্ট, মার্ক চ্যাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, লকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, টম লাথাম, ডারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধি, টিম সাউদি, উইল ইয়ং
শক্তি: উইলিয়ামসনের অভিজ্ঞ নেতৃত্ব বড় শক্তি ব্ল্যাক ক্যাপসদের। অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার অধিনায়ক। গেম রিডিং খুব ভালো। দুর্ধর্ষ স্ট্র্যাটেজির জন্য বিখ্যাত কিউয়ি অধিনায়ক। তাঁর নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট এখন অন্য এক উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। বোলিং বেশ শক্তিশালী কিউয়িদের। ট্রেন্ট বোল্টের পরিপূরক টিম সাউদি, লকি ফার্গুসন এবং ম্যাট হেনরি। স্পিন বিভাগে মিচেল স্যান্টনার এবং ইশ সোধি বৈচিত্র্য এবং অভিজ্ঞতা সঞ্চার করবে। স্যান্টনারের বাঁ হাতি স্পিন এবং সোধির ডান হাতের রিস্ট স্পিন নিউজিল্যান্ডের শক্তির জায়গা। ভারতের মাটিতে আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতাও কিউয়ি বোলারদের কাছে অ্যাডভান্টেজ। আইসিসি টুর্নামেন্টে সাদা বলে নিউজিল্যান্ড ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছে। গত চারটি বিশ্বকাপে ধারাবাহিক ভাবে শেষ চারে পৌঁছেছে কিউয়িরা। দুবারের রানার্স আপ ব্ল্যাক ক্যাপসরা। ২০২১ সালের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। ধারাবাহিকতার জন্যই কিউয়িদের গুরুত্ব দিতেই হবে।
দুর্বলতা: ঘূর্ণি পিচে স্পিন বোলিং খেলার অক্ষমতা। কেন উইলিয়ামসন বাদে বাকিদের স্পিন বোলিং খেলায় দুর্বলতা রয়েছে। ডারিল মিচেল, ডেভন কনওয়ে এবং গ্লেন ফিলিপসও স্পিন বোলিংয়ের বিরুদ্ধে স্বচ্ছন্দ নন। ভারতে স্পিন বান্ধব পিচ এবং স্পিনারদের যুগলবন্দি সমস্যায় ফেলতে পারে কিউয়িদের।
ভারতের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে রেকর্ড একেবারেই ভালো নয়। ভারতের মাটিতে খেলা ৬১টি ওয়ানডে-র মধ্যে কিউয়িরা জিতেছে ১৮টিতে। হার মেনেছে ৪১টিতে। এই সংখ্যা কিন্তু চিন্তার কারণ নিউজিল্যান্ডের জন্য।
এক্স ফ্যাক্টর:নিউজিল্যান্ডের এক্স ফ্যাক্টর তাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ধুরন্ধর অধিনায়ক। ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং করেন। ফ্যাব ফোরের মধ্যে তাঁকে ধরা হয়। এবার প্রায়শ্চিত্ত করার শেষ সুযোগ সম্ভবত পাচ্ছেন উইলিয়ামসন।
সম্ভাব্য একাদশ: ডেভন কনওয়ে, উইল ইয়ং, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), টম লাথাম, ডারিল মিচেল, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র/জিমি নিশাম, মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধি/ম্যাট হেনরি, ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসন
সম্ভাবনা: চার বছর আগে দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছিল কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড। লর্ডসের সেই মহাকাব্যিক ফাইনাল পৌঁছেছিল সুপার ওভারে। বিতর্কিত সেই ফাইনালে শেষ হাসি তোলা ছিল ইংল্যান্ডের জন্য। এবারের বিশ্বকাপের আগে কিউয়িদের সম্পর্কে বলা হচ্ছে, সোনালি প্রজন্মের এটাই শেষ সুযোগ প্রায়শ্চিত্ত করার। পারবে কি কিউয়িরা এবার ট্রফি জিততে। গত দুটি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড ফাইনালে পৌঁছেও খালি হাতে ফিরেছিল। কিউয়িদের যা শক্তি এবং ধারাবাহিরকা, তাতে সেমিফাইনালে পৌঁছতেই পারে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। নক আউট পর্বে নির্দিষ্ট দিনে যে দল ভালো খেলবে, সেই দল জিতবে। ফলে ভাগ্য সহায় হলে নিউজিল্যান্ড পৌঁছতে পারে ফাইনালে। আর ফাইনালে পৌঁছলে গত দুবারের প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ পাচ্ছেন উইলিয়ামসনরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.