সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে ভারত। সেমিফাইনালে সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ কে হবে, সেটাও ভারতের হাতেই রয়েছে। এখনও যা পরিস্থিতি তাতে টিম ইন্ডিয়ার সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হতে পারে অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ আফ্রিকা।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে নামার আগেই রোহিত শর্মারা জেনে গিয়েছেন উলটো দিকের গ্রুপে শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা আর দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়া। ভারত যদি শেষ ম্যাচে জিতে যায় তাহলে গ্রুপের শীর্ষে থাকার সুবাদে অন্য গ্রুপের দ্বিতীয় দল অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সেমিফাইনালে খেলবে। আর টিম ইন্ডিয়া যদি শেষ ম্যাচে হারে, তাহলে গ্রুপে দ্বিতীয় হওয়ার দরুন অন্য গ্রুপের শীর্ষস্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলতে হবে। এখন প্রশ্ন হল, রোহিত শর্মাদের জন্য সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ হিসাবে কোন দল বেশি কঠিন? কাদের বিরুদ্ধে খেলতে বেশি স্বচ্ছন্দ্য হবেন রোহিতরা?
এমনিতে যে কোনও আইসিসি ইভেন্টের নকআউটে অস্ট্রেলিয়া সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রতিপক্ষ। আবার নকআউট পর্যায়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলাটা অনেক সহজ। প্রোটিয়াদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চাপের মুখে ব্যর্থ হওয়ার একটা প্রবণতা সবসময় লক্ষ্যনীয়। শুধু নকআউটে খেলার মানসিকতার নিরিখে দেখতে গেলে অস্ট্রেলিয়া নিঃসন্দেহে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ। কিন্তু যদি খাতায় কলমে শক্তির বিচার করা হয় তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকা এই মুহূর্তে অজিদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। সেভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে কোনও দুর্বলতাই চোখে পড়ে না।
দক্ষিণ আফ্রিকার টপ অর্ডারে বাভুমা, ভ্যান ডার ডুসেন, মার্করাম। মিডল অর্ডারে স্টাবস, ক্লাসেন, মিলারদের মতো ব্যাটার রয়েছেন। যারা দীর্ঘদিণের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। এদের মধ্যে স্টাবস, মার্করাম, ক্লাসেনরা দারুন স্পিনটাও খেলেন। দুবাইয়ের স্পিন সহায়ক পিচে সেটা বিরাট অ্যাডভান্টেজ। মাঝের ওভারগুলিতে স্পিনারদের দিয়ে উইকেট তুলে নেওয়াটা রোহিতদের মোক্ষম অস্ত্র। সেই অস্ত্র ভোঁতা করে দিতে পারেন মার্করাম, ক্লাসেনরা। আবার বোলিং বিভাগেও মহারাজ, শামসিদের মতো স্পিনার রয়েছেন। মার্করামও প্রয়োজনে স্পিন বোলিং করে দিতে পারেন। তুলনায় চোট আঘাত ও অন্যান্য সমস্যায় জর্জরিত অস্ট্রেলিয়াকে খানিকটা দুর্বল মনে হচ্ছে। হেড, স্মিথ, লাবুশেন এবং ম্যাক্সওয়েল বাদে আর কোনও ব্যাটারের সেভাবে দুবাইয়ের মতো পরিস্থিতিতে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। স্পিনের বিরুদ্ধে অনভিজ্ঞ অজি ব্যাটাররা চাপে পড়তে পারেন। আরও একটা সমস্যা হল অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সারির তিন পেসারই নেই। ফলে পেস বিভাগ বড্ড বেশি অনভিজ্ঞ। যদিও স্পিন বিভাগে জাম্পা এবং ম্যাক্সওয়েল রয়েছেন। বস্তুত গোটা বোলিং বিভাগটাই দাঁড়িয়ে জাম্পার উপর। সেদিক থেকে দেখতে গেলে ব্যাটিং এবং বোলিং দুই বিভাগেই কিছুটা হলেও পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু আইসিসি টুর্নামেন্টে অজিদের হালকাভাবে নেওয়াটা নিতান্তই বোকামি। কারণ স্রেফ খুনে মানসিকতার জেরেই এই ম্যাচগুলিতে বাজিমাত করার ক্ষমতা রাখে অস্ট্রেলিয়া। তাই শেষ চারে প্রতিপক্ষ যারাই হোক, ভারত দুই দলকেই সমান গুরুত্ব দেবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.