সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় পাঁচ বছরের বেশি সময় ভারতের জাতীয় দলের (Indian Team) কোচের পদে ছিলেন তিনি। একবার মহার্ঘ পদ পাওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছিলেন। দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় ভারতীয় দলের হটসিটে বসার সুযোগ পান। অর্ধ দশকের কোচিং কেরিয়ারে সাফল্য, ব্যর্থতা, বিতর্ক সবকিছুরই সাক্ষী থেকেছেন রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri)। অথচ এ সবকিছুই নাকি হয়েছে ভুল করে। এমনকী কোচের পদে তাঁর নিয়োগটাই নাকি হয়েছে ভুল করে। এমনটাই মনে করছেন শাস্ত্রীজি।
রবি শাস্ত্রী এখন আর ভারতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর বদলে রোহিত শর্মাদের হেডকোচের আসনে বসেছেন রাহুল দ্রাবিড়। শাস্ত্রী মনে করছেন, দ্রাবিড়ই তাঁর পর কোচ হওয়ার জন্য সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। কারণ তিনি এসেছেন দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। বিরাট কোহলিদের প্রাক্তন হেডকোচ বলছেন,”রাহুল দ্রাবিড়ের (Rahul Dravid) থেকে যোগ্য হেডকোচ হতেই পারত না। আমি তো চাকরিটা ভুল করে পেয়েছিলাম। আমি ধারাভাষ্য দিচ্ছিলাম। হঠাৎ একদিন কোচ হয়ে গেলাম। তারপর আমার মতো করে চেষ্টা করলাম। কিন্তু দ্রাবিড় পরিশ্রম করে পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে এখানে এসেছে। রাহুল আগে এনসিএতে ছিল, তারপর অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্ব নিল। আমার মনে হয় ও এটাকে উপভোগ করবে।”
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ভারতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার দৌড়ে ছিলেন শাস্ত্রী। তার আগে শাস্ত্রী ভারতীয় দলের ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন। কিন্তু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, শচীন তেন্ডুলকর এবং ভিভিএস লক্ষ্মণের ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি অনিল কুম্বলেকে কোচের দায়িত্ব দেন। কুম্বলের (Anil Kumble) সেই পদ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ন’মাস বাদেই কোচের চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। ফের টিম ইন্ডিয়ার সিংহাসনে বসে পড়েন শাস্ত্রী। টিম ইন্ডিয়ার কোচের পদে শাস্ত্রীর প্রত্যাবর্তনের নেপথ্যে তৎকালীন অধিনায়ক বিরাট কোহলির হাত ছিল বলে মনে করা হয়। যদিও শাস্ত্রী বলছেন, সবটাই হয়েছে ভুল করে।
শাস্ত্রীর কোচিংয়ে টেস্ট ফরম্যাটে ৪৩টি ম্যাচের মধ্যে ২৫টিতে জিতেছে ভারত। ৭৬টি ওয়ানডে-র মধ্যে ৫১টিতে জিতেছেন বিরাট কোহলিরা। ৪২ মাস (২০১৬-২০২০) টেস্টে একনম্বরে ছিল শাস্ত্রীর ভারত। তবে সাফল্যের মধ্যে ব্যর্থতাও রয়েছে। বিরাট জমানায় একাধিকবার সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও কোনও আইসিসি (ICC) ট্রফি জেতেনি ভারত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.