সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের কিছুক্ষণ পরের মুহূর্ত। হার্দিক পাণ্ডিয়া অঝোরে কাঁদছেন। ঠিক তখনই তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন রোহিত শর্মা। বিশ্বজয়ের আনন্দে গালে চুমু খেলেন ভারত অধিনায়ক। অথচ তার ঠিক একমাস আগেও এই দৃশ্য একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল ভারতের ক্রিকেটভক্তদের কাছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দুই তারকার বিবাদ নিয়ে তখন প্রবল চর্চা। কিন্তু বিশ্বকাপে কীভাবে ছবিটা বদলে গেল?
আইপিএলে একেবারেই সাফল্য পায়নি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রোহিতকে সরিয়ে হার্দিককে অধিনায়ক করার পর বিতর্কে জর্জরিত হয়েছিল তাঁরা। এমনকী দুজনের কথাবার্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলেও জল্পনা শোনা গিয়েছিল। সেই অবস্থায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের অভিযান নিয়ে আশঙ্কায় ছিলেন ক্রিকেটভক্তরা। কিন্তু সমস্ত বিতর্ক উড়িয়ে সাফল্য পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া। শেষ ওভারে বোলিংয়ের দায়িত্ব ছিল সহ-অধিনায়ক হার্দিকের কাঁধেই। যেন একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়েছিল।
সেই বিষয়ে এক বর্ষীয়ান সাংবাদিক জানান, “যখন আমি প্রথম নেটে যাই, তখনই বুঝতে পারি হার্দিক ও রোহিতের মধ্যে কী চলছে। প্রথম দিন ওঁরা নিজেদের মধ্যে কথাও বলেনি। দূরে-দূরে থাকছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দিন, ওঁরা একসঙ্গে এসেছিল। একসঙ্গে বসে অনেকক্ষণ কথা বলেছিল। তখন কোনও ক্যামেরা ছিল না। যেভাবে রোহিত আর হার্দিক কথা বলছিল, আমার মনে হচ্ছিল, এ আমি কী দেখছি?”
তাঁর সংযোজন, “ভারতে ওঁদের পার্থক্য নিয়ে অনেক কথাই হয়েছিল। কিন্তু পরের তিনদিন রোহিত আর হার্দিক পাশাপাশি ব্যাট করেছিল। হার্দিকের ব্যাটিং-বোলিং নিয়ে রোহিত কথা বলছিল। আমার মনে হয়েছিল, সবচেয়ে বড় সমস্যাটা নিয়ে ওঁরা কথা বলেছে। এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব রাহুল আর রোহিত শর্মার। রাহুল যেভাবে বিরাট, হার্দিক, রোহিতদের বিষয়টা সামলেছে, তাতে ওঁর কৃতিত্ব প্রাপ্য। সবাই একত্রিত ভাবে ছিল। এই ধরনের নেতৃত্বের উপর আমার পূর্ণ বিশ্বাস ছিল।” শুধু তাঁর নয়, ভারতবাসীর বিশ্বাসের মর্যাদা রেখেছিলেন রোহিতরা। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বসেরা হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.