সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনে বিশ্বকাপ। সেই সময় পর্যন্ত তিনি যথারীতি থাকছেন। তার পরে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। সেই পর্যন্ত রবি শাস্ত্রী অ্যান্ড কোংকে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিসিসিআই তথা ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। গতকাল ছিল কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সভা। সেই সভায় ঠিক হয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচিং স্টাফকে যথারীতি রেখে দেওয়া হবে। অর্থাৎ রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে বিরাট কোহলিদের সাহায্য করতে থাকবেন সঞ্জয় বাঙ্গার, ভরত অরুণ ও আর শ্রীধর। এই চারজনকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর পর্যন্ত রেখে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল বিসিসিআই।
২০১৭-র জুলাইতে অনিল কুম্বলে পদত্যাগ করার পর রবি শাস্ত্রীর হাতে কোচিংয়ের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। যথারীতি সেই দায়িত্ব পালন করে চলেছে শাস্ত্রী অ্যান্ড কোং। সভার পর কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অনিল কুম্বলে সরে যাওয়ার পর যে পদ্ধতিতে নতুন কোচ নিয়োগ করা হয়েছিল, সেই পথেই এগোবে বোর্ড। সেইজন্য শাস্ত্রী, বাঙ্গার, অরুণদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নতুন করে আর কোচিং পদ পাওয়ার জন্য আবেদন করার প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ বিশ্বস্ত সূত্রের খবর এই চারজনকেই সামনে রেখে ভারতীয় দলকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পাঠানো হবে। বিশ্বকাপের পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে ভারত খেলবে দু’টো টেস্ট, তিনটে করে একদিন ও টি-২০ ম্যাচ। প্রশ্ন হল, ভারত যদি বিশ্বকাপে ব্যর্থ হয়, তাহলে কি কোচিং স্টাফদের রেখেই ভারত এগনোর চেষ্টা করবে? বোর্ড সূত্রের খবর, শাস্ত্রী-কোহলি জুটিকে ভাঙন ধরানোর কোনও ইচ্ছে বোর্ডের নেই। তাই, পরবর্তী টি-২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত শাস্ত্রী-কোহলি জুটি সম্ভবত অব্যাহত থাকবে। অর্থাৎ এই জুটিকে আরও দু’টো বছর দেখে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া সফর চলাকালীন বিরাট কোহলি নিজে স্বীকার করেছিলেন তাঁর ক্রিকেটীয় উন্নতির পিছনে রয়েছে রবি শাস্ত্রীর বিশাল অবদান। শুধু খেলাই নয়, দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পিছনেও শাস্ত্রীর যে কিছু টিপস তিনি কাজে লাগাচ্ছেন, তাও জানিয়েছিলেন কোহলি। সেদিন কোহলি বলেছিলেন, “শাস্ত্রী আমাকে বলেছিলেন তোমার ব্যাটিং নিয়ে কারও কিছু বলার নেই। এখন তোমার প্রয়োজন দলের থেকে সেরা খেলা বের করে আনা। তার জন্য কীভাবে সকলের থেকে বার করবে সেই বিষয়গুলিকে চিহ্নিত করাই একজন অধিনায়কের সবচেয়ে বড় কাজ।” শাস্ত্রীর সম্পর্কে কোহলির এমন শ্রদ্ধাস্পদ উক্তি যেমন ছিল, ঠিক তেমনি কোহলি সম্পর্কেও অস্ট্রেলিয়া সিরিজ জেতার পর শাস্ত্রী বলেছিলেন, “আমি অস্ট্রেলিয়ায় তিনবার এসেছি। জানি এখানে জেতা কতটা কঠিন। তাই বিশ্বকাপ জয় আমার কাছে বড় ব্যাপার ছিল ঠিকই। তারচেয়েও বেশি আবেগপূর্ণ হয়ে থাকল অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জেতা।” সুতরাং পরস্পরের এই শ্রদ্ধার্ঘ্যতে ছেদ ঘটাতে চাইছে না বিসিসিআই।
কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আইপিএল চলাকালীন কোনও রাজনৈতিক দলের প্রচার মাঠে করা চলবে না। খেলার সঙ্গে রাজনীতিকে কোনওমতেই গুলিয়ে ফেলা হবে না জানিয়ে দিয়েছে বোর্ড। আসলে এন শ্রীনিবাসন তখন বোর্ডের প্রধান। সেই সময় হায়দরাবাদে একটি আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচে দেখা গিয়েছিল নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক প্রচার। সামনে লোকসভা ভোট। যা সারা ভারত জুড়ে এপ্রিল-মে মাসে চলবে। টিভি সম্প্রচার সংস্থা স্টার ইন্ডিয়াকে বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে খেলা চলাকালীন কোনও রাজনৈতিক বা ধর্মীয় প্রচার মাঠের মধ্যে করা চলবে না। এমনকী, টিভিতে খেলা সম্প্রচার করার মাঝে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রচার পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.