সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির নবান্ন (Nabanna) অভিযান নিয়ে এখনও তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এর মধ্যেই মিছিল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা আরও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে এসবের মাঝে দেখা দিল নয়া বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। কোনও একটি সংবাদমাধ্যমের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যে ব্যক্তির কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার হয়, সেই বলবিন্দর সিংকে ঘিরে ধরে মারছেন পুলিশকর্মীরা। বলবিন্দর মাটিতে পড়ে গেলেও চলতে থাকে মারধর। এরপর তাঁকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময়ই টানাটানিতে বলবিন্দরের মাথার পাগড়িটি খুলে যায়।
আর এই ভিডিওটি দেখেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন শিখ সমাজের একাংশ। তাঁদের মতে, এভাবে একজন শিখের মাথা থেকে পাগড়ি খুলে পড়াটা গোটা সম্প্রদায়ের কাছে অপমানের সমান। এরপর অবিলম্বে দোষী পুলিশকর্মীদের শাস্তির দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে টুইটও করেন অনেকে। এমনকী খোদ প্রাক্তন ভারতীয় দলের ক্রিকেটার হরভজন সিংও (Harbhajan Singh) বিষয়টি নিয়ে মমতাকে টুইট করে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।
प्रियांगू पांडेय की सेक्युरिटी में तैनात बलविंदर सिंह की पगड़ी खीच खीच कर उतारना,सड़क पर घसीट कर बर्बर तरीके से पीटा जाना बंगाल पुलिस की बर्बरता दर्शाता है।@MamataOfficial दोषी पुलिसवालों पर सख्त कार्यवाही करो।
इसी पगड़ी वाले सिखो ने बांग्लादेश बनाया था। pic.twitter.com/stWTeXKmpC— Impreet Singh Bakshi ਇਮਪ੍ਰੀਤ ਸਿੰਘ ਬਖ਼ਸ਼ੀ (@impreetsbakshi) October 9, 2020
Plz have a look into this matter @MamataOfficial this isn’t done 😡😡 https://t.co/mKrbQhn1qy
— Harbhajan Turbanator (@harbhajan_singh) October 9, 2020
আসলে, মিছিলে ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি বলবিন্দরের কাছ থেকে উদ্ধার হয়। তারপরই এই নিয়ে চাঞ্চল্য দেখা দিলে BJP নেতারা দাবি করেন, ওই বন্দুকের লাইসেন্স রয়েছে। সৌমিত্র খাঁ জানান, ধৃত বলবিন্দর সিং আদতে পাঞ্জাবের (Punjab) ভাটিন্ডার বাসিন্দা। তিনি বিজেপি যুব মোর্চার নেতা প্রিয়াংগুর দেহরক্ষী। একজন দেহরক্ষীর কাছে বন্দুক থাকাটা স্বাভাবিক বিষয়। তাঁর আরও অভিযোগ, রাজ্য সরকার দেহরক্ষীর কাছেও বন্দুক থাকা নিয়ে কার্যত ‘রাজনৈতিক ফায়দা’ তোলার চেষ্টা করছে।
যদিও হাওড়া সিটি পুলিশ (Howrah city police) পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর বৃহস্পতিবার সন্ধেয় জানিয়ে দেয়, এই পিস্তলটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ঠিকই। তবে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরির জেলাশাসকের দপ্তর থেকে ওই অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তবে অস্ত্রটি জেলার বাইরে নিয়ে যাওয়ার কোনও অনুমতি নেই। সেক্ষেত্রে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরির লাইসেন্সপ্রাপ্ত ওই বন্দুকটি হাওড়ায় নিয়ে আসাই বেআইনি। তাই নবান্ন অভিযানে স্রেফ অশান্তি পাকাতেই বলবিন্দর অস্ত্র হাতে মিছিলে উপস্থিত ছিল বলেই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
এদিকে, শুক্রবার রাতেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফ থেকে এই প্রসঙ্গে টুইট করা হয়। জানানো হয়, মিছিলে ওই ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসেছিলেন। ধরপাকড়ের সময় তাঁর মাথার পাগড়ি কোনওভাবে খুলে যায়। এই ঘটনা ইচ্ছাকৃত নয়। কোনও সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত করার কোনও রকম ইচ্ছে ওই আধিকারিক বা পুলিশকর্মীদের ছিল না। এটি পুরোপুরি অনভিপ্রেত ঘটনা। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সমস্ত ধর্মকে সম্মান করে। আর তাই গ্রেপ্তার করে ভ্যানে ওঠানোর আগে বলবিন্দর সিংকে পাগড়ি পরে নিতেও বলেন ওই আধিকারিক।
The concerned person was carrying firearms in yesterday’s protest. The Pagri had fallen off automatically in the scuffle that ensued,without any attempt to do so by our officer (visible in the video attached). It is never our intention to hurt the sentiments of any community(1/2) pic.twitter.com/aE8UgN36W5
— West Bengal Police (@WBPolice) October 9, 2020
West Bengal Police respects all religions. The officer specifically asked him to put his Pagri back before the arrest. The attached photo has been clicked right before he was escorted to the Police Station. We remain committed to our duty to uphold law and order in the state(2/2) pic.twitter.com/BnTWztfDGW
— West Bengal Police (@WBPolice) October 9, 2020
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.