সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমনটা হওয়ারই ছিল। এবং হল সেটা দু’দিন পর। অসমের বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে ভারত-শ্রীলঙ্কার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বৃষ্টিতে বাতিল হওয়ার পর ঝড় উঠল ক্রিকেট মহলে। এ নিয়ে বোর্ড কর্তারা বেজায় চটেছেন। তাঁরা এখন পিচ কমিটির চেয়ারম্যান আশিস ভৌমিকের কাছ থেকে রিপোর্ট হাতে পাওয়ার অপেক্ষায়। রিপোর্ট পেলে তারপর এ নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা হবে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের জেনারেল ম্যানেজার সাবা করিমও বলেছেন, “আশিসের কাছ থেকে রিপোর্ট ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি এই ব্যাপারে এর বেশি কিছু বলতে পারবে না। আগে রিপোর্ট আসুক তারপর এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
৫ জানুয়ারি, রবিবার বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে খেলা শুরুর আগে বিশাল বৃষ্টি হয়েছে, তা বলা যাবে না। টস হওয়ার আগে পর্যন্ত খেলা নিয়ে কোনও অনিশ্চয়তা ছিল না। বিরাট টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। তারপরই বৃষ্টি শুরু। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর আম্পায়াররা বার কয়েক মাঠ পরীক্ষা করেও ম্যাচ শুরু করতে পারেননি। কী করে করবেন! পিচ কভারে ফুটো থাকার জন্য পিচে জল ঢুকে কয়েকটি জায়গায় ক্ষত তৈরি হয়। তা আর ঠিক করা যায়নি। মাঠ কর্মীরা হেয়ার ড্রায়ার, ইস্ত্রি দিয়ে পিচ শুকোবার চেষ্টা করেন। বিরাট কোহলিদের সামনে এ সব চলে। এ নিয়ে ভারত অধিনায়ক খেপে যান। তিনি আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এই পিচে খেলা সম্ভব নয়। মাঠ কর্মীদের এই প্রচেষ্টার ছবি ক্রিকেট দুনিয়ার সামনে চলে আসে। প্রাচীন যুগকে ফিরিয়ে এনে ক্রিকেট বোর্ডকেই তারা চাপে ফেলে দেন। অসম ছেড়ে ইন্দোর যাওয়ার আগে একরাশ ক্ষোভ জানিয়ে যান ভারত অধিনায়ক। তিনি ভাবতেই পারেননি, আধুনিক যুগে এভাবে পিচ শুকোবার লড়াই হবে। তার সঙ্গে অক্টোবরে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে নজর দিয়ে সব দল নিজেদের তৈরি করছে। সেখানে একটি ম্যাচ হাতছাড়া করা মানে কিছুটা হলেও পিছিয়ে যাওয়া।
বোর্ড কর্তারা সে সব টেনে আনেননি। তাঁরা জানতে চাইছেন, এই অনভিজ্ঞ লোকদের দিয়ে কেন কাজ করানো হয়েছে। কেনই বা আগে এই সব মাঠের সাংগঠনিক ক্ষমতা মেপে নেওয়া হয়নি? পিচ কমিটির চেয়ারম্যান আশিসের সঙ্গে অভিযোগের কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে রাহুল জোহুরিকেও। কেন তিনি আগে এ সব দেখে রাখেননি। আসলে শীর্ষ আদালত থেকে অনেক কিছু ছাড় না পেলে সবকিছু ঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই সমস্যায় পড়েছেন বোর্ড কর্তারাও। এখন রিপোর্ট হাতে এলে বোঝা যাবে, কোন জায়গায় গলদ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.