সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরাট কোহলি থেকে রোহিত শর্মা, বীরেন্দ্র শেহওয়াগ থেকে অগণিত ভক্ত, প্রত্যেকেই চান আরও কয়েক বছর খেলা চালিয়ে যান মহেন্দ্র সিং ধোনি। এভাবেই ভারতীয় শিবির কাজে লাগিয়ে যাক তাঁর মগজাস্ত্রকে। কিন্তু বিজেপি অপেক্ষা করছে কখন ধোনি ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন! ভাবছেন কেন? কারণ বাইশ গজ থেকে সরে দাঁড়িয়েই নাকি রাজনীতির আঙিনায় পা রাখবেন ক্যাপ্টেন কুল। গেরুয়া শিবিরের অন্দরে অন্তত এমন খবরই ঘোরাফেরা করছে।
চলতি বিশ্বকাপে ধোনির মন্থর গতির ব্যাটিং নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। তা সত্ত্বেও তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বারবার জানিয়েছেন, দলে তাঁর উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি। এমন পরিস্থিতিতে ধোনির অবসর নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। মাহি অবশ্য শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগেই বলেছিলেন, তিনি কবে অবসর নেবেন জানেন না। কিন্তু অনেকে চায় তিনি শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পরই সরে দাঁড়ান। তেমন কিছু না হলেও অনেকেরই ধারণা বিশ্বকাপের পরই হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আলবিদা জানাবেন ধোনি। আর তারপরই বিজেপিতে যোগ দেবেন। এমনকী, তাঁকে ঝাড়খণ্ডের আসন্ন বিধানসভার মুখ করে তোলার জল্পনাও শুরু হয়ে গিয়েছে। এমন খবর ঠিক কতটা বিশ্বাসযোগ্য? এক বিজেপি নেতার কথায়, লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই ধোনির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে বিজেপি। কিন্তু বিশ্বকাপ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চেয়েছিলেন ধোনি। ঝাড়খণ্ডের রাজপুত্রের জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখেই দলে তাঁর ভূমিকা স্থির করা হবে।
গত বছর বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ পীযূষ গোয়েল এবং বিজেপি দিল্লি শাখার সভাপতি মনোজ তিওয়ারিকে সঙ্গে নিয়ে ধোনির বাড়িতেও গিয়েছিলেন। বিজেপি সূত্রে খবর, মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও রাখছেন ধোনি। সম্প্রতি সে রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শাহ। রাজ্যের ৮১টি আসনের মধ্যে কমপক্ষে ৬৫টিতে জেতার লক্ষ্য নিয়ে এগনোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে ধোনি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালে যে তিনি দলের সম্পদ হয়ে উঠবেন, তা বলাই বাহুল্য।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ধোনির এককালের সতীর্থ গৌতম গম্ভীর। দিল্লি পূর্ব কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে জিতেও ছিলেন তিনি। এবার ধোনিও সে পথে হাঁটেন কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.