অ্যাকাডেমির পথচলার সময় যুবরাজ সিং। নিজস্ব চিত্র
সব্যসাচী বাগচী: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) থেকে গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। জাহির খান (Zaheer Khan) থেকে আশিস নেহরা (Asish Nehra)। বাইশ গজের যুদ্ধ থেকে বিদায় নিতেই কোচ হিসেবে পরিচিতি গড়ে তুলেছেন। এবার সেই দলে নাম লেখাতে মরিয়া যুবরাজ সিং (Yuvraj Singh)। কলকাতায় এসে জানিয়ে দিলেন নিজের ইচ্ছার কথা।
সাংবাদিক বৈঠকে বলছিলেন, “আমার দুই বাচ্চা খুবই ছোট। ওরা আরও একটু বড় হলে, স্কুলে যেতে শুরু করলে আমি অনেকটা সময় পাব। আমি নিজেও বাচ্চাদের সঙ্গে কাজ করতে ভালোবাসি। আইপিএলেও কাজ করতে ইচ্ছুক। সুযোগ পেলেই কোচিং শুরু করব।”
এদিকে মার্লিন গ্রুপের সঙ্গে জোট বেঁধে শুরু হল ‘যুবরাজ সিং সেন্টার অফ এক্সিলেন্স’ -এর (Yuvraj Singh Centers Of Exellence) পথচলা। নিজের অ্যাকাডেমির উদ্বোধনে কলকাতায় এসেছিলেন যুবরাজ। দেশের একটি প্রথম সারির রিয়েল-এস্টেট সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে যুবরাজ সিং সেন্টার অফ এক্সিলেন্স পথচলা শুরু করল। যুবির ক্রিকেট তৈরির কারখানায় কারিগর হিসেবে থাকবেন একাধিক নামজাদা কোচ। রাজারহাটের বুকে গড়ে উঠেছে এই অ্যাকাডেমি।
কলকাতার বুকে এই অ্যাকাডেমি শুরু করা নিয়ে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ (2011 World Cup) জয়ী যুবি নিজেও বেশ উত্তেজিত। কারণ পূর্ব ভারতে এটাই জোড়া বিশ্বকাপ জয়ী (পড়ুন, টি-২০ বিশ্বকাপ এবং ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ) তারকা অলরাউন্ডারের প্রথম ক্রিকেট অ্যাকাডেমি।
নিজের স্বপ্নের প্রকল্প নিয়ে যুবরাজ বলেন, “ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার অনেক আগে থেকেই অ্যাকাডেমি গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল। ভারতীয় দলে সুযোগ পেতে হলে সেরা মঞ্চ হল ঘরোয়া ক্রিকেট। সেখানে পারফর্ম করার জন্য অনুশীলন খুব জরুরি। তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হল।” এখানেই থেমে না থেকে তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘ভারতীয় দলে সাফল্যের সঙ্গে খেলার পর দেশকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার তাগিদ রয়েছে। তাই এই স্বপ্নের প্রকল্প গড়ে তোলা হল।”
বাবা যোগরাজ সিংয়ের কোচিংয়ে বেড়ে ওঠার সময় কোন কোন প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছিলেন? যুবরাজের প্রতিক্রিয়া, “আমাদের সময় তেমন সুযোগ সুবিধা ছিল না। ইন্ডোর বলে কিছুই ছিল না। এত উইকেট ছিল না। বোলিং মেশিন ছিল না। আমি তো তবুও বাবা-র সান্নিধ্যে অনেক সুযোগ পেয়েছি। আমার সমসাময়িক অনেকেই সুযোগ সুবিধা পায়নি। সেই সময় মাঠের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। আর তাই বর্তমান প্রজন্মকে ভালো সুযোগ সুবিধা দিতে চাই।”
যুবির এই অ্যাকাডেমিতে ডিরেক্টর অফ কোচিং হিসেবে থাকবেন ভিনীত জৈন। ৮০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন তিনি। একইসঙ্গে বিসিসিআইয়ের লেভেল টু কোচ ভিনীত জৈন। কোচ হিসেবে থাকবেন ভারত এ দলের খেলা বিশাল ভাটিয়া। বিসিসিআইয়ের লেভেল ওয়ান কোচ অভিজিত দাসও ক্রিকেটার তৈরির দায়িত্বে থাকবেন।
প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের এক বছরের স্কলারশিপ দেওয়ার পাশাপাশি বোর্ডিং গড়ে তোলার কথাও ভাবা হচ্ছে। এছাড়া এই অ্যাকাডেমিতে ইন্ডোর ও আউটডোর প্র্যাকটিস করতে পারবে উঠতি ক্রিকেটাররা। টার্ফ উইকেট, বোলিং মেশিন, ভিডিও অ্যানালিসিসের মতো সুবিধা পাবে ক্রিকেটাররা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.