সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইংল্যান্ডের বিশ্বজয়ের নায়ক তিনি। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে তাঁর ব্যাটই নিউজিল্যান্ডের প্রথমবার সোনার ট্রফি হাতে তোলার স্বপ্নভঙ্গ করে দেয়। কেন উইলিয়ামসনদের হারানোর সুবাদে এবার নিউজিল্যান্ড সরকারের বিরল সম্মানের জন্য মনোনীত হলেন বিশ্বকাপ ফাইনালের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। তাজ্জব হলেন? ভাবছেন যাঁর পারফরম্যান্সে ভর করে কিউয়িদের হারাল ইংল্যান্ড, তাঁকেই কিনা এমন বিরল সম্মানের জন্য মনোনীত করল নিউজিল্যান্ড! ব্যাপারটা কী?
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ফাইনালে নিশামের ছক্কা দেখেই প্রয়াত ছোটবেলার কোচ]
এবারের বিশ্বকাপে স্বপ্নের পারফরম্যান্স বেন স্টোকসের। ব্যাটে-বল দুর্দান্ত গিয়েছে বিশ্বকাপ। ব্যাট করে ৪৬৫ রান এবং হাত ঘুরিয়ে সাতটি উইকেট পেয়েছেন অলরাউন্ডার। ফাইনালেও কঠিন পরিস্থিতিতে স্নায়ুর চাপ সামলে ৯৮ বলে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মূল্যবান ৮৪ রান। তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ভর করে প্রথমবার সীমিত ওভারের ক্রিকেটের বিশ্বকাপ জেতে ব্রিটিশরা। লর্ডসের লর্ড হন ইয়ন মরগ্যান। কিন্তু আদতে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে স্টোকসের। ২৮ বছর বয়সী বেন স্টোকসের জন্ম নিউজিল্যান্ডেই। তাঁর বাবা-মা সেখানেই থাকেন। ১৯৯১ সালের ৪ জুন নিউজিল্যান্ডে জন্ম বেন স্টোকসের। জন্মের পরও বেশ কিছু বছর ক্রাইস্টচার্চেই ছিলেন স্টোকস। তাঁর বাবা জেরার্ড রাগবি লিগ কোচিং করাতে কামব্রিয়া চলে এলে তাঁর সঙ্গেই গোটা পরিবার ইংল্যান্ড পাড়ি দেয়। সেইসময় ১২ বছর বয়সেই ইংল্যান্ডে চলে আসে বেন। কিন্তু পরে তাঁর বাবা-মা ক্রাইস্টচার্চে চলে আসেন। এখন তাঁরা সেখানেই থাকেন। ফাইনালের দিন ব্ল্যাক ক্যাপসের হয়ে গলা ফাটান বেনের বাবা জেরার্ড। তিনি জানান, ক্রাইস্টচার্চে বসেই তিনি দেখলেন ছেলের অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স এবং প্রিয় দলের সুপার ওভারে হার।
এই পুরস্কারের মূখ্য বিচারক ক্যামেরন বেনেট, এখনও নিউজিল্যান্ডবাসীদের কেউ কেউ বেনকে নিজেদেরই আপনজন ভাবেন। তাই হয়তো তিনি মনোনীত হয়েছেন। উল্লেখ্য, বিশ্বকাপের প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট তথা ব্ল্যাক ক্যাপসদের (এভাবেই ডাকা হয় নিউজিল্যান্ড দলকে) অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও মনোনীত হয়েছেন এই সম্মানের জন্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.