Advertisement
Advertisement

Breaking News

রনজি

করোনার জেরে কমছে ম্যাচ! রোজগার কমার আশঙ্কায় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটাররা

জানেন প্রথম শ্রেণির ঘরোয়া ক্রিকেটে এক ম্যাচে কত রোজগার হয় ক্রিকেটারদের?

Domestic cricketers worry about their earnings as cricket stops
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 21, 2020 11:57 am
  • Updated:June 21, 2020 11:57 am  

আলাপন সাহা: করোনার প্রকোপে আসন্ন ঘরোয়া ক্রিকেট মরশুমেও বেশ কিছু বদল আসতে চলেছে। ফরম্যাট বদলাতে পারে। বিসিসিআইয়ের ক্রিকেট অপারেশন টিম কাজও শুরু করে দিয়েছে। একটা জিনিস খুব পরিষ্কার, বোর্ড এবার ট্রাভেল কমাতে চাইছে। এক বোর্ড কর্তা বলেছেন, “ঝুঁকির পরিমাণ কমাতে গেলে অবশ্যই ট্রাভেল কমাতে হবে। ফরম্যাট বদল নিয়ে আলোচনাও চলছে। যদিও এখনই কিছু চূড়ান্ত হয়নি।”

সাধারণত সেপ্টেম্বরের শেষ কিংবা অক্টোবরের শুরুতে ঘরোয়া মরশুম শুরু হয়ে । কিন্তু এবার সেটা হয়তো তা সম্ভব হবে না। বিসিসিআই চেষ্টা করছে অক্টোবর-নভেম্বরে আইপিএল (IPL) করার। সেটা যদি হয়, তাহলে ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু হতে নভেম্বরের শেষ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এত টুর্নামেন্ট তাহলে কীভাবে শেষ করবে বোর্ড? সঙ্গে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার ব্যাপারটাও দেখতে হবে। ওয়াসিম জাফরের মতো প্রাক্তন বলছেন, বোর্ডের উচিত এবছর শুধু মুস্তাক আলি টি-২০ আর রনজি করা। কিন্তু বোর্ডের অনেকেই আবার মনে করেন কোনও টুর্নামেন্ট বন্ধ করে দেওয়া উচিত হবে না। তার চেয়ে ফরম্যাট বদল করা যেতে পারে। তাতে ট্রাভেলও কমে যাবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘অবিলম্বে আইপিএলের চিনা স্পনসর বাতিল করতে হবে’, বিসিসিআইকে ‘চাপ’ বণিকসভার]

ফরম্যাটে কী বদল আসতে পারে? শোনা যাচ্ছে বিজয় হাজারে আর টি-টোয়েন্টিতে আবার আগের মতো জোন-পর্ব চালু করে দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে ম্যাচও যেমন কমবে তেমন ক্রিকেটারদের খুব বেশি ট্রাভেল করতে হবে না। তেমনই আবার রনজিতে গ্রুপে চার কিংবা পাঁচ ম্যাচ করে দেওয়া হতে পারে। এতদিন ধরে টিমগুলো সাধারণত আটটা ম্যাচ খেলত। আর ঠিক এখানেই চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন ক্রিকেটাররা। যদিও ফরম্যাট বদল যে হবেই, সেটা বিসিসিআই(BCCI) চূড়ান্ত করে জানায়নি। কিন্তু ক্রিকেটারদের আশঙ্কা এই পরিস্থিতিতে ফরম্যাট বদলে যাওয়ার চান্স বেশি। আর যদি ম্যাচ কমে যায়, তাহলে তো রোজগারও কমে যবে। এখন রনজি ম্যাচ (Ranji Trophy) প্রতি ক্রিকেটাররা প্রায় দেড় লক্ষ টাকা করে পান। অবশ্য যাঁরা প্রথম এগারোয় থাকেন না, তাঁরা তার অর্ধেক পান। আর একদিনের খেলায় ম্যাচ ফি-র পরিমাণ ৩৫ হাজার।

[আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত প্রাক্তন বাংলাদেশি অধিনায়ক মাশরাফি মোরতাজা, মন খারাপ অনুরাগীদের]

স্বাভাবিকভাবে যদি চারদিনের কিংবা একদিনের ম্যাচ কমে যায়, তাহলে মোট ম্যাচ ফি-র অনেকটাই কম পাবেন ক্রিকেটাররা। বাংলায় এমন অনেক ক্রিকেটার রয়েছেন, যাঁদের চাকরি নেই, আইপিএল চুক্তি নেই। শুধু ক্লাব আর রাজ্য দলের হয়ে খেলে সংসার চালান। ফলে তাঁদের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। এক ক্রিকেটার বলছিলেন, “চিন্তা তো রয়েছেই। ম্যাচ কমে গেলে ম্যাচ ফি কম পাব। সেটা তো বেশ চাপের ব্যাপার।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement