সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেঞ্চুরি তো দূরের কথা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হাফ সেঞ্চুরিও করতে পারতেন না বিরাট কোহলি! তিনি ভাগ্যবান বলেই আউট হননি। বক্তব্য সুনীল গাভাসকরের। পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের অজ্ঞতার জেরেই বেঁচে গিয়েছেন বিরাট, এমনটাই মত কিংবদন্তি ওপেনারের।
আসলে ভারত-পাক ম্যাচের ২১তম ওভারে একটি বল অহেতুক হাত দিয়ে ধরেন বিরাট কোহলি। হ্যারিস রউফের বলে কোহলি একটি সিঙ্গেল নিয়েছিলেন। বাউন্ডারির ধার থেকে পাক ফিল্ডারের ছোড়া বল হাত দিয়ে ধরে নেন তিনি। মজার কথা হল, ওই বলটি যেদিকে যাচ্ছিল, সেদিকে সেভাবে ব্যাকআপও ছিল না পাকিস্তানের। বাবর আজম ছুটছিলেন ব্যাক-আপের জন্য। সে যা-ই হোক গাভাসকর মনে করছেন, বিরাট যেভাবে অহেতুক হাত দিয়ে বলটা ধরেছিলেন, সেটা নিয়ম বিরুদ্ধ। পাকিস্তান ক্রিকেটাররা একটি ক্রিকেটীয় জ্ঞান দেখিয়ে আবেদন করলেই বিপদে পড়তে পারতেন বিরাট। ফিল্ডিংয়ে বাধা দেওয়ার জন্য তাঁকে আউটও দিতে পারতেন আম্পায়াররা। সেসময় বিরাট ৪২ রানে ব্যাট করছিলেন।
গাভাসকর বলছেন, “বিরাট তো হাত দিয়ে বলটা ধরে নিল। পাকিস্তান যদি আবেদন করত, তাহলে এটা ফিল্ডিংয়ে বাধাদানের শামিল হত। কিন্তু ওরা আবেদন করেনি। তবে বলটিতে কেউ ব্যাকআপও ছিল না। ভারত একটা বাড়তি রানও পেতে পারত।” লিটল মাস্টারের কথায়, “অহেতুক ওই বলটি হাত দিয়ে ধরার কোনও দরকার ছিল না বিরাটের। ভাগ্য ভালো যে পাকিস্তানিরা আবেদন করেননি।” পাকিস্তান ক্রিকেটারদের কাণ্ডে খানিক হতবাক সে দেশের প্রাক্তনী রামিজ রাজাও। তিনি বলছেন, “পাক ক্রিকেটারদের ম্যাচ সচেতনতাই নেই।”
কিন্তু সত্যিই কি আউট ছিলেন বিরাট? ক্রিকেটের নিয়ম বলছে, কোনও ব্যাটার যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ফিল্ডারদের রান আউট বা ক্যাচ নিতে বাধা দেন, তাহলে অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড বা ফিল্ডিংয়ে বাধাদানের অভিযোগে তাঁকে আউট দেওয়া যেতে পারে। ২০০৬ সালে ইনজামাম উল হক ভারতের বিরুদ্ধে এভাবে আউট হয়েছিলেন। ২০১৫ সালে বেন স্টোকস অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এভাবেই আউট হন। তবে বিরাটের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অন্যরকম। তিনি বল হাত দিয়ে ধরেছিলেন বটে, কিন্তু সেটা পপিং ক্রিজে ঢুকে পড়ার পর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.