Advertisement
Advertisement
আফগানিস্তান

ম্যাচের আগের রাতে রেস্তরাঁয়, বিপাকে আফগান ক্রিকেটাররা

পাকিস্তানের পর এবার সমালোচনায় বিদ্ধ আফগানরা।

Cricket World Cup: Team Afghanistan at restaurant, sparks row
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:June 18, 2019 7:03 pm
  • Updated:June 18, 2019 7:03 pm  

গৌতম ভট্টাচার্য, ম্যাঞ্চেস্টার: সোশ্যাল মিডিয়ার ভয়ে এখন ক্রিকেটাররা সাহস করে খেতেও বেরোতে পারছেন না! ভারত ম্যাচের আগের রাতে শোয়েব মালিক-সহ বেশ কিছু পাকিস্তানের ক্রিকেটার এক রেস্তরাঁয় খেতে যান। ম্যাঞ্চেস্টারের ভারতের কাছে কুৎসিত হারের পর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যায়।

[আরও পড়ুন: অনবদ্য শাকিব, ক্যারিবিয়ানদের দুরমুশ করে সেমিফাইনালের দৌড়ে বাংলাদেশ]

দেখা যায়, ম্যাচের আগের রাতে ম্যাঞ্চেস্টারের উইনস্লো রোডের শিশা ক্যাফেতে সস্ত্রীক শোয়েব মালিককে। সঙ্গে ডিনারে ছিলেন ওয়াহাব রিয়াজ, ইমাম-উল-হক-সহ একাধিক পাক ক্রিকেটার। গোটা ঘটনা ধরা পড়ে এক পাক ভক্তের ক্যামেরায়। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। বলাবলি হতে থাকে, ভারতের মতো এরকম একটা হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে ক্রিকেটাররা কীভাবে রেস্তরাঁয় গিয়ে রাত পর্যন্ত বসে থাকতে পারেন। সেই ঘটনার রেশ এখনও যায়নি। তারই মাঝে সোমবার রাতে আরেক ঘটনা। পাকিস্তানের বদলে আফগানিস্তান। মঙ্গলাবর ম্যাঞ্চেস্টারেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের ম্যাচে। আর সোমবার রাতে জনা আটেক ক্রিকেটার এখানকার এক ভারতীয় রেস্তরাঁয় খেতে এসেছিলেন। মহম্মদ নবি ছিলেন। রশিদ খান অবশ্য ছিলেন না। ইংল্যান্ডের বড় বড় হোটেলেও ভাল উপমহাদেশীয় খাবার পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়েই ক্রিকেটারদের বাইরের রেস্তরাঁয় কিংবা পাব-এ খাবার খেতে যেতে হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের হারে কাঠগড়ায় ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়ম, ক্ষুব্ধ বিশেষজ্ঞরা]

সোমবার রাতে সেরকমই এখানকার এক বিখ্যাত রেস্তরাঁয় গিয়েছিলেন আফগান ক্রিকেটাররা। রেস্তরাঁর নাম – আকবর’স। ৭৩-৮৩ লিভারপুল রোড, ম্যাঞ্চেস্টার এম ৩ ৪ এনকিউ, ইউকে। ঘড়িতে তখন সাড়ে দশটা হবে। হঠাৎ করেই এক হোটেল কর্মী এসে আফগানিস্তান ক্রিকেটারদের বলেন, “আপনারা কী করছেন? কালকে ম্যাচ রয়েছে। আর এখনও এখানে বসে আপানারা খেয়ে যাচ্ছেন? আমার কাছে গোটাটা ভিডিও করা রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার ছেড়ে দেব?” হোটেল কর্মী তখন রীতিমতো শাসাতে থাকেন। এটা শোনার পরই প্রবল উত্তেজিত হয়ে পড়েন নবি। প্রায় হাতহাতির মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। বাকি ক্রিকেটাররা কোনওরকমে সামলে নেন নবিকে। এমনকী হোটেলের বাইরে চলে আসার পরও বেশ উত্তেজিত দেখাচ্ছিল আফগান ক্রিকেটারকে। সামনে দাঁড়িয়ে গোটা ঘটনা দেখে বেশ অবাকই হয়ে যাচ্ছিলাম। আরে এটা হচ্ছেটা কী? সাধারণত পরের দিন ম্যাচ থাকলে ক্রিকেটারদের বলে দেওয়া হয়, তাঁরা বাইরে বেরোলেও যেন এগারোটার মধ্যে চলে আসেন। তাহলে? ক্রিকেটাররা কি এবার খেতেও বেরোতে পারবেন না?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement