সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) স্টেডিয়ামে টস জিতে যখন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন অনেকেই ভ্রু কুঁচকেছিলেন। বিশ্বকাপে ভারত-পাক মহারণের মতো চাপের ম্যাচে পরে ব্যাট করার ঝুঁকি এর আগে আর কোনও অধিনায়ক নেননি। রোহিতের (Rohit Sharma) পরিকল্পনা সম্ভবত ছিল মোটামুটি একটা রানে পাকিস্তানকে আটকে দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে শিশিরের সুবিধা নেওয়া। শিশির পড়লে ব্যাট করাটা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠানোর সময় ভারত অধিনায়কও হয়তো ভাবেননি যে বাবর আজম-মহম্মদ রিজওয়ানদের দুশোর নিচে আটকে দেওয়া যাবে।
গুজরাটের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এই কাণ্ডটিই ঘটিয়ে ফেললেন ভারতীয় বোলাররা। মাত্র ১৯১ রানে অল-আউট করে দিলেন পাকিস্তানকে। মহম্মদ সিরাজ, জসপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah) থেকে শুরু করে হার্দিক পাণ্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, ভারতীয় বোলাররা বোধ হয় এদিন ‘সবে মিলি করি কাজ’ এই আপ্তবাক্য মনে মনে জপে নিয়েছিলেন। নাহলে এত নিখুঁত এবং পরিপূর্ণ বোলিং পারফরম্যান্স সত্যিই সচরাচর দেখা যায় না। ভারতের হয়ে এদিন বুমরাহ, সিরাজ, হার্দিক, কুলদীপ, জাদেজা সকলেই নিলেন দুটি করে উইকেট।
অথচ এদিন শুরুটা ভালই হয়েছিল পাকিস্তানের। প্রথম উইকেটের জুটিতে ৪১ রান করে ফেলেছিলেন আবদুল্লা শফিক এবং ইমাম-উল হক। আবদুল্লাকে ব্যক্তিগত ২০ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে পাক দুর্গে প্রথম আঘাতটি হানেন মহম্মদ সিরাজ। পাকিস্তানের দ্বিতীয় উইকেটটি পড়ে ৭৩ রানে। এবারে ইমামকে ফেরান হার্দিক। তবে তখনও বোঝা যায়নি, পাক শিবিরে ঠিক কী ঝড় আসতে চলেছে। কারণ তখনও বাবর আজম এবং মহম্মদ রিজওয়ান ব্যাট করছিলেন। পাকিস্তানের সেরা দুই ব্যাটারের মধ্যে ৮৫ রানের একটি পার্টনারশিপও হয়। বাবর এবং রিজওয়ান যখন ব্যাট করছিলেন, তখন মনে হচ্ছিল পাকিস্তান হয়তো বড় রান করতে চলেছে। বাবর ভারতের বিরুদ্ধে প্রথমবার হাফ সেঞ্চুরিও করেন। হাফ সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন রিজওয়ানও।
কিন্তু ১৫৫ রানের মাথায় বাবরের উইকেট পড়তেই শুরু হল বিপর্যয়। বাবর আউট হন ৫০ রানেই। বলা ভাল, শুরু হল ভারতীয় বোলারদের আসল খেলা। ১৫৫ থেকে ১৯১ এই ৩৬ রানের মধ্যে পাকিস্তান খুইয়ে ফেললে শেষ ৭টি উইকেট। মাত্র কয়েকটা ওভারে ঘুরে গেল খেলার গতি। পুরনো বলে, বুমরাহ, হার্দিক, সিরাজদের যেন অপ্রতিরোধ্য লাগছিল। বাবরের ৫০ এবং রিজওয়ানের ৪৯ রান ছাড়া আর কোনও পাক ব্যাটার দাঁড়াতেই পারলেন না। পাকিস্তানের শেষ সাত ব্যাটারের মধ্যে দশের গণ্ডি পেরোলেন মাত্র একজন। তিনি হাসান আলি (১২)। ফলে যা হওয়ার হল। ভারতের সামনে চ্যালেঞ্জিং স্কোরও খাড়া করতে পারল না পাকিস্তান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.