সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংকটের নাম করোনা ভাইরাস (CoronaVirus)। এবার ক্রিকেট জগতে বড়সড় থাবা বসাল COVID-19। না, কোনও নামি ক্রিকেটার আক্রান্ত হননি। গোটা অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটটাই কাহিল করোনার মারে। লকডাউনের জেরে ভেঙে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক কাঠামো। পরিস্থিতি এমন যে, কর্মীদের বেতন দিতেও হাত দিতে হচ্ছে স্থায়ী সঞ্চয়ে। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মীকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (Cricket Australia)। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটিতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ৮০ শতাংশ কর্মী। ওই সময় নিজেদের বেতনের মাত্র ২০ শতাংশ পাবেন তাঁরা। এমনটাই দাবি অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় কিছু সংবাদ মাধ্যমের। যদিও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি।
ক্রিকেট বিশ্বে অন্যতম প্রতিষ্ঠিত এবং আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা অস্ট্রেলিয়া বোর্ড। ভারতের বিসিসিআই (BCCI) এবং ইংল্যান্ডের ইসিবির (ECB) পরই আর্থিক স্বচ্ছলতার দিক থেকে নাম আসে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু, লাগাতার লকডাউনের জেরে অস্ট্রেলিয়ার একাধিক সিরিজ বাতিল হয়েছে। তাছাড়া এবছরই ক্যাঙ্গারুর দেশে টি-২০ বিশ্বকাপ হওয়ার কথা। বিশ্বকাপের পরিকাঠামোর জন্য বহু টাকা ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে হঠাৎ লকডাউনের জেরে বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে। ফলে বহু টাকা লোকসানের মুখ দেখতে হয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে। যার জেরে চাপে অজি বোর্ড। এবছরই যেহেতু বিশ্বকাপ, তাই সঞ্চিত অর্থও খরচ করতে নারাজ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তাই ছাঁটাইয়ের খড়গ এসে পড়েছে ৮০ শতাংশ কর্মীর উপর।
নিজেদের আর্থিক অবস্থা যে জরাজীর্ণ তা দুদিন আগেই স্বীকার করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। বিবৃতি দিয়ে তারা বলে, “লকডাউনের ফলে অন্য সব খেলার থেকে বেশি বিপর্যস্ত হবে ক্রিকেট। আমরা সাবধানে এবং সক্রিয়ভাবে এই সংকট মোকাবিলার চেষ্টা করছি। সরকারের বিভিন্ন বিভাগের অনুমতি নিয়ে খুব শীঘ্রই কাজে ফিরব।” এখন প্রশ্ন হচ্ছে, করোনার ফলে যদি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় বোর্ডেরই এই অবস্থা হয়, তাহলে ছোট ক্রিকেট খেলিয়ে দেশের কি অবস্থা হবে? আর এবছর যে বিশ্বকাপ অজি ভূমিতে হওয়ার কথা তাঁরই বা ভবিষ্যৎ কি?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.