আলাপন সাহা: বাড়ি থেকে কোথাও বেরোচ্ছেন না কুলদীপ যাদব। কিন্তু কারও কোনও সমস্যার কথা শুনলে নিজেকে আটকেও রাখতে পারছেন না! সমস্যায় পড়া মানুষের কাছে ঠিক ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে যাচ্ছে। কারও হয়তো রেশনের দরকার। কার খাবারের প্রয়োজন? সবকিছুর খবর রাখছেন কুলদীপ। তারপর জিনিসপত্র পৌঁছে দিচ্ছেন।
খবর নিয়ে জানা গেল, সেখানের পুলিশ গাড়ি থাকছে। সেই পুলিশের গাড়ি করে সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছেন কুলদীপ। এছাড়াও কিছু লোকজন রয়েছেন, যাঁরা আর্তদের সেবার কাজে নেমেছেন, তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগ করে কুলদীপ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠিয়ে দিচ্ছেন। শোনা গেল, কুলদীপের বাড়ির কাছাকাছি সব দুঃস্থ লোকদের রেশনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটার। আর শুধু নিজের বাড়ির আশপাশে বলে নয়, কারও কোনও সমস্যার কথা শোনার পরই কুলদীপ ওই ব্যক্তির যাবতীয় খোঁজখবর জোগাড় করছেন। তাররপরই তাঁর কাছে সাহায্যও পৌঁছে দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার ফোনে সংবাদ প্রতিদিন-কে কুলদীপ বলছিলেন, ‘‘এখন আমাদের সবার উচিত প্রত্যেকের পাশে থাকা। আমি চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব সাহায্য করার। এখন না করলে আর কবে করব? এটা আমার কর্তব্য।’’ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এখন আইপিএল খেলার কথা ছিল। কিন্তু এখন ক্রিকেটের কথা ভাবছেন না। বলছিলেন, ‘‘দেখুন ক্রিকেট পরেও থাকবে। ক্রিকেট নিয়ে পরেও কথা কথা বলা যাবে। এখন কঠিন সময়ের দিয়ে যাচ্ছি আমরা। এই যুদ্ধ জিততে গেলে আমাদের সবাইকে এক হয়ে লড়তে হবে। বাড়িতে থাকতে হবে। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখতে হবে। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দিচ্ছেন, আরও সবাই যা যা নির্দেশ দিচ্ছেন, আমাদের সবাইকে সবকিছু মেনে চলতে হবে।’’
ছোটবেলা থেকেই আঁকা-টাঁকা নিয়ে প্রচণ্ড উৎসাহী কুলদীপ। কিন্তু ক্রিকেটের জন্য এখন আর খুব একটা হয়ে ওঠে না। এখন পুরোপুরি গৃহবন্দি। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন আর রং-তুলি নিয়ে বসে পড়ছেন কুলদীপ। বলছিলেন, ‘‘আমি ছবি আঁকতে খুব পছন্দ করি। এখন বাড়িতে বসে সেটা করছি।’’
ভারতীয় ক্রিকেটাররা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন। ক্রিকেটাররা ইনস্টাগ্রাম লাইভ করছেন। হোয়াটসঅ্যাপে কথাবার্তা চলছে। আর ক্রিকেট না থাকলেও প্রত্যেকেই নিজেদের ফিট রাখছেন। বাড়িতে ট্রেনিং চলছে।
শোনা গেল, ভারতীয় টিমের ট্রেনার প্রত্যেককে একটা করে শিডিউল পাঠিয়ে দিয়েছেন। ভারতীয় টিমের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও নাকি ফিটনেস ট্রেনিংয়ের চার্ট দেওয়া হয়েছে। তেমনই প্রত্যেক ক্রিকেটারকে আলাদা করেও ট্রেনিং চার্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্রিকেটাররা সেই অনুযায়ী ট্রেনিং করছেন। কুলদীপ বলছিলেন, ‘‘এখন কারও পক্ষে বাইরে গিয়ে ট্রেনিং করা সম্ভব নয়। আমি বাড়িতেই ট্রেনিং করছি। নিজেকে ফিট রাখছি। আমাদের একটা শিডিউল করে দেওয়া হয়েছে। কিছু গ্রুপে দেওয়া হয়েছে। তবে এক-একজন ক্রিকেটারের ট্রেনিং শিডিউল আলাদা আলাদা হয়। তাই প্রত্যেক ক্রিকেটারদের আলাদা করেও ফিটনেস ট্রেনিংয়ের চার্ট পাঠানো হয়েছে। আমি সেই অনুযায়ী ট্রেনিং করছি।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.