স্টাফ রিপোর্টার: কর্ণাটক প্রিমিয়ার লিগে বেটিং কেলেঙ্কারির খবর থেমেও থামছে না। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে বেটিং কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল দু’জনকে। আবার একই ঘটনার জন্য বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও দু’জনকে। এঁরা হলেন, সি এম গৌতম ও আবরার কাজি। সবমিলিয়ে ছ’জন দোষী ক্রিকেটারকে গ্রেফতার করল কর্নাটক পুলিশ।
কর্ণাটক প্রিমিয়ার লিগ যথেষ্ট নজরকাড়া একটা টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়। কিন্তু সেই টুর্নামেন্টে যে বেটিংয়ের ছায়া এসে পড়বে তা কেউ ভাবতেই পারেনি। অথচ দেখা যাচ্ছে যত দিন গড়াচ্ছে ততই এক এক করে ক্রিকেটার ধরা পড়ে যাচ্ছে। গতকাল যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁরা হলেন বিলারি তুস্কার্সের অধিনায়ক সি এম গৌতম ও কর্ণাটক দলের প্রাক্তন উইকেটকিপার তথা বিলারি দলের অন্যতম সদস্য আবরার কাজি। এঁদের বিরুদ্ধে গত দু’বছর বেটিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
এক সাক্ষাৎকারে রাজ্যের অ্যাডিশনাল কমিশনার অব পুলিশ সন্দীপ পাতিল জানিয়েছেন, “কেপিএল ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার জন্য আমরা দু’জন ক্রিকেটারকে গ্রেপ্তার করেছি।” এঁরা দু’জন যে কেপিএল-এর ফাইনাল ম্যাচে বেটিংয়ে জড়িত ছিলেন তা পুলিশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে, ফাইনাল হয়েছিল হুবাল্লি বনাম বালারি। একজন তদন্তকারী অফিসার ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জানিয়েছেন, “দু’জন ম্যাচ গড়াপেটা করার জন্য ২০ লাখ টাকা নিয়েছিল। শুধু ফাইনাল নয়, বেঙ্গালুরু দলের বিরুদ্ধেও ম্যাচ গড়াপেটা করার সঙ্গে দু’জনে যুক্ত ছিল।” কয়েকদিন আগে বেঙ্গালুরু দলের একজন ক্রিকেটার নিশান্ত সিং শেখওয়াতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিলাগাভি দলের তিনজন অনেক আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে।
গৌতম ও কাজি কিন্তু একসময় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বা আইপিএল খেলেছেন। গৌতম এখন গোয়া দলের হয়ে রনজি খেলছেন। কাজি চলে গিয়েছেন মিজোরামে। গৌতম আইপিএলে আরসিবি, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে খেলেছিলেন। দু’জনকেই নিজ নিজ রাজ্য দলের মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলার জন্য রাখা হয়েছিল। এখন সবকিছু খুঁইয়ে বসল দু’জনে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.